বরিশালে ধর্ষনের অভিযোগে আটক চার শিশুকে, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার নাবালক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর আদালতের নির্দেশে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

    বরিশালের বাকেরগঞ্জে ধর্ষণের মামলায় আটক চার শিশুকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বসে বরিশালের শিশু আদালত।

    শুনানি নিয়ে ওই শিশুদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক আবু শামীম আজাদ। রাতেই জামিন আদেশ পাঠানো হয় যশোরের পুলেরহাট কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে। এরপর রাতেই তাদেরকে সেখান থেকে মুক্তি দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে বাকেরগঞ্জে পাঠানো হয়। এই শিশুদের বয়স ৬ থেকে ৯ বছর।

    মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে বাকেরগঞ্জ থানায় ৬ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

    ধর্ষনের মামলায় তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই শিশুদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনরা। মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ওই ৪ শিশুকে বাবা-মায়ের জিন্মায় দেয়ার দাবি করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

    মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার আসামিরা ওই শিশুটির খেলারসাথী। গত রোববার বিকেলে বাগানের মধ্যে খেলার সময় তাকে আসামিরা ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
    এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে মামলার আসামি হিসেবে ৪ শিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাকেরগঞ্জ আমলী আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের বিচারক মো. এনায়েতউল্লাহ এক আদেশে আসামি ৪ শিশুকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
    মামলার আসামিরা হলো-সাইদুল ইসলাম (১১), সোলায়মান ইসলাম তামিম (১০), হাফিজুল ইসলাম লাবিব (১০) এবং শাওন হাওলাদার (১০)। দৃশ্যত তাদের বয়স মামলায় উল্লেখিত বয়সের চেয়ে কম হবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।
    সন্ধ্যায় আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় ওই ৪ শিশুর আহাজারিতে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে আদালতের আদেশ রক্ষায় পুলিশ তাদের প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যায়।