বাংলাদেশ মেইল ::
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। আর এতে আক্রান্ত হয়েছে রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষ। ভাইরাসটির বিস্তার ও জিন গবেষণা করে এমন তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। গতকাল গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গবেষণার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করে।
গবেষণায় বলা হয়, রাজধানী ঢাকার ৪৫ শতাংশ সাধারণ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পজিটিভ। শহরের বস্তিতে এ হার আরো বেশি, ৭৪ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। যারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশের শরীরে পরীক্ষার সময় লক্ষণ ছিল না। লক্ষণ ছিল মাত্র ৬ শতাংশের শরীরে।
গবেষণার জন্য দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া আটটি বস্তিকে গবেষণায় যুক্ত করা হয়। ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত পাওয়া গেছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে সাধারণ পরিবার এবং জুলাই থেকে আগস্টে বস্তির পরিবারের নমুনা গবেষণার জন্য নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআর,বির গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস ব্রাউন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনায় আমাদের দেশে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের মৃত্যু অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম। যে কারণে মৃত্যুহার কিছুটা কম। যদিও বয়স হিসেবে বাংলাদেশেও বৃদ্ধরাই মারা গেছেন।
আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ বলেন, দেশে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে কভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য এটাকে কেস ফাইন্ডিং বলা যায় না। আমরা একটা সফটওয়্যারের ডাটা থেকে এটা পেয়েছি।