রয়টার্সের প্রতিবেদন
    অ্যান্থনি ফাউসিকে ‘বিপর্যয়’ বললেন ট্রাম্প

    বাংলাদেশ মেইল ::

    হোয়াইট হাউজে করোনা ভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসিকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ফাউসি হলেন একটি বিপর্যয়। যদি আমি তার কথা শুনতাম, তাহলে পাঁচ লাখ মানুষ (করোনায়) মারা যেত (যুক্তরাষ্ট্রে)। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ড. অ্যান্থনি ফাউসিকে নিয়ে হতাশায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও তিনি এক নির্বাচনী সভায় বলেছেন, আগামী ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি বিজয়ের পথে রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এখনও তিনি জাতীয় পর্যায়ে জনমত জরিপে প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের থেকে পিছিয়ে আছেন। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন কমপক্ষে দুই লাখ ১৯ হাজার মানুষ। এই ভাইরাস কিভাবে সর্বোত্তমভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন ট্রাম্প ও ফাউসি ।

    এতে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের সুযোগ দুর্বল হয়েছে। অ্যান্থনি ফাউসি দায়িত্ব পালন করেছেন ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের অধীনে। তাকে দেখা হয় যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে সম্মানীত বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে। সেই ফাউসি আহ্বান জানিয়েছিলেন, কোভিড-১৯ এর বিষয়টিকে গুরুত্ব সহ নেয়া উচিত। তবে ট্রাম্পের যুক্তি, সবচেয়ে খারাপ বিপদ কেটে গেছে।
    উল্লেখ্য, এবার ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্থনি ফাউসিকে। এর বিরুদ্ধে তিনি প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন। সিবিএস সানডে নাইটের ‘৬০ মিনিট’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন, এতে তিনি বিস্মিত হন নি। ওদিকে অ্যারিজোনায় দুটি নির্বাচনী র‌্যালিতে অংশ নিতে লাস ভেগাসে একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, টিভিতে সাক্ষাতকারে বোমা ফাটিয়েছেন ফাউসি। তবে এটা হবে আরো বড় বোমা, যদি আপনারা তাকে সরিয়ে দিতে পারেন। ট্রাম্পের সর্বশেষ এ মন্তব্য সম্পর্কে ফাউসির অফিস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
    ট্রাম্প বলেছেন, করোনা মহামারিতে দেয়া বিধিনিষেধের কারণে মার্কিনিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন, যা-ই হোক আমাদেরকে বাড়ি থেকে একা বের হতে দিন। এসব মানুষ ঘরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। জনগণ ফাউসির কথা শুনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কারণ, ‘অল দিজ ইডিয়টস’। তার এসব অনুষ্ঠানে যেসব নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই মুখে মাস্ক পরেননি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবস্থান করেছেন।
    ওদিকে ফাউসিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যতম বলে আখ্যায়িত করেছেন রিপাবলিকান সিনেটর লামার আলেকজান্দার। তিনি বলেছেন, যদি অধিক পরিমাণ মার্কিনি তার পরামর্শের প্রতি মনোযোগ দিতো, তাহলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতেন কম মানুষ। স্কুলে ফিরে যাওয়া নিরাপদ হতো। কাজে যেতে পারতেন তারা এখন। বাইরে যেতে পারতেন খাবার খেতে।