শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত হলেন বাবুনগরী

    বাংলাদেশ মেইল ::

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ফটিকছড়িতে অবস্থিত দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া আরাবিয়া নছিরুল ইসলাম নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি নিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাবুনগরী প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত হলেন। বুুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার মজলিসে শুরার বৈঠকে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই বৈঠকে শুরা কমিটি মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমিকে মুহতামিম নির্বাচিত করে।

    মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য মেখল মাদ্রাসার মুহতামিম নোমান ফরাজি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১১টা থেকে শুরা কমিটির বৈঠক শুরু হয়। কমিটির বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি করা হয়। পাশাপাশি মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমিকে মাদ্রাসার মুহতামিম, মাওলানা ইয়াহিয়াকে নায়েবে মুহতামিম এবং মাওলানা হাফেজ ইসমাইলকে মুঈনে মুহতামিম করা হয়।

    আগামী শুরা বৈঠক পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।

    এর আগে, গত ২৭ মে মাদ্রাসার মুহতামিম শাহ মুহাম্মদ ইদ্রিস ইন্তেকাল করলে সহকারী পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিমের দায়িত্ব দেয় শুরা কমিটি। পরবর্তীতে মাদ্রাসার শুরা সদস্য হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার প্রয়াত পরিচালক আহমদ শফী মাওলানা সলিমুল্লাহকে মুহতামিম ঘোষণা করেছেন বলে নিজেকে মুহতামিম দাবি করেন মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা সলিমুল্লাহ। এতে বিভক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষক ছাত্র ও এলাকাবাসী।

    এ পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে মাদ্রাসা ত্যাগ করতে বাধ্য হন মুহতামিম দাবিদার মাওলানা সলিমুল্লাহ। স্থানীয় সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির হস্তক্ষেপে ছাত্ররা শান্ত হন। আজ মজলিসে শুরার বৈঠকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে বাবুনগরী প্রয়াত শাহ আহমদ শফীর স্থলাভিষিক্ত হলেন।