যমুনার তিন সাংবাদিকসহ ১৫ জন পেলেন ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড

    বাংলাদেশ মেইল ::

    এবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১৫ জন রিপোর্টারকে (সাংবাদিক) ১৪টি বিষয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পুরস্কার পাওয়া সাংবাদিকদের হাতে সনদ ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

    ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদারসহ অন্যান্য সদস্য, সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

    পুরস্কার পাওয়া ১৫ সাংবাদিকের মধ্যে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার নয় জন হলেন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ‘যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি, শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ‘uncommon reeors in `common abbreviation’ প্রতিবেদনের জন্য দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রায়হান এম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে ‘৫০০ টাকার গগলস ৫০০০, ২ হাজারের পিপিই ৪৭০০’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক কালের কণ্ঠের আরিফুর রহমান, অনুসন্ধানী রিপোর্ট (উন্মুক্ত) ক্যাটাগরিতে সন্ত্রাসীদের হাতে রাজনীতির ‘চেরাগ’ প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলোর কামরুল হাসান, অর্থ-বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে ‘ডেসটিনির সম্পদ বারো ভূতের দখলে!’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক ভোরের কাগজের মরিয়ম সেঁজুতি, সেবা খাত ক্যাটাগরিতে ‘ময়লার টাকাও খান কাউন্সিলররা!’ প্রতিবেদনের জন্য বাংলা ট্রিবিউনের শাহেদ শফিক, ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে ‘পেশাদার লীগে অপেশাদারিত্ব’ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক নয়াদিগন্তের রফিকুল হায়দার ফরহাদ, শিল্প-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ক্যাটাগরিতে ‘বিলুপ্তির পথে সিনেমার ব্যানার পেইন্টিং, আঁকিয়েরা ভিন্ন পেশায়’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক জনকণ্ঠের মনোয়ার হোসেন এবং আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘হত্যা ধর্ষণের সত্যতা হারিয়ে যায় ফাইনাল রিপোর্টে’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক ইত্তেফাকের সমীর কুমার দে।

    টেলিভিশন ও বেতার মিডিয়ায় পুরস্কার পেয়েছেন ছয় জন। তাদের মধ্যে সেবা খাত ক্যাটাগরিতে ‘ঢাকার বায়ুদূষণ’ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য চ্যানেল ২৪ এর মো. মাকসুদ-উন-নবী এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট (উন্মুক্ত) ক্যাটাগরিতে যুগ্ম বিজয়ী হয়েছেন ‘আপনার এনআইডি কয়টি?’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের মো. আলাউদ্দিন আহমেদ ও ‘খাল-নলকূপ গেল কোথায়?’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের কাজী ইমতিয়াজ আল মোমিন। এ ছাড়া অর্থ-বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে ‘কর্মসংস্থানে করোনার প্রভাব’ এনটিভির মো. হাসানুল আলম শাওন, স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে ‘টাকায় মেলে পজিটিভ নেগেটিভ’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের সাজ্জাদ পারভেজ এবং নারী ও শিশু ক্যাটাগরিতে ‘দাসী নাকি রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ প্রতিবেদনের জন্য নিউজ ২৪ এর আশিকুর রহমান শ্রাবণ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।