রায়হান হত্যা: আরও ২ পুলিশ সদস্য সাসপেন্ড

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। এ দুই পুলিশ সদস্য হলেন নগরীর কোতোয়ালী থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র এবং এসআই আব্দুল বাতেন। তন্মধ্যে রায়হান হত্যার মামলাটি প্রথমে এসআই আব্দুল বাতেন তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

    আজ বুধবার সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে এ দুইজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি, এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়ার পলায়ন সবমিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

    এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সৌমেন মৈত্রকে রংপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। আব্দুল বাতেন আপাতত এসএমপিতেই আছেন।

    এ নিয়ে রায়হান হত্যার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ গ্রেফতার করা হয়েছে চার পুলিশ সদস্যকে।

    এর আগে গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহমদকে ধরে নেওয়া হয় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে। ১১ অক্টোবরে ভোরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যান রায়হান। তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর নগরীর কোতোয়ালী থানায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন।