উগ্র ধর্মীয় নেতা মামুনুলকে ঠেকাতে দিনভর চট্টগ্রামে সরব ছিল ছাত্রলীগ

    বাংলাদেশ মেইলঃ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিরুপ মন্তব্য কারী ও উগ্র জঙ্গিবাদী হেফাজত নেতা মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমন ঠেকাতে হাটহাজারীর প্রবেশদ্বার নগরীর অক্সিজেন মোড়ে সরব অবস্থানে ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত এ প্রতিরোধ কর্মসূচীতে সকাল থেকেই মিছিলে মিছিলে যোগ দিতে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা যে কোন মূল্যে মামুনুল হকের চট্টগ্রাম আগমন ঠেকানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। উক্ত প্রতিরোধ জমায়েতে সংহতি জানাতে দুপুরের দিকে যোগ দেয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও।

    চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু জানায়, আমাদের কাছে খবর ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্যকারী এবং উগ্র ধর্মীয় আদর্শ লালনকারী হেফাজত নেতা মামুনুল হক আজ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাহফিলে উপস্থিত হবে। তাই আমরা চট্টগ্রামের ছাত্রজনতা তার আগমন প্রতিহত করতে অবস্থান নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তিকারি কোনো ব্যক্তি বুক ফুঁলিয়ে চট্টগ্রামে আসবে সেটা হতে পারে না। শুধু আজকে নয় যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সে স্বাধীনভাবে চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না।

    এতে অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু, সেলিম উদ্দীন জয়, মেজবাহ উদ্দীন মোরশেদ, মোসলে উদ্দীন শিবলী, কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী ইব্রাহিম, রাজীব হাসান রাজন, আশিকুন নবী চৌধুরী, আবু সাঈদ সুমন, বখতিয়ার সাঈদ ইরান, মোহাম্মদ সেলিম,শওকত আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, আর ও উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগ নেতা তালেব আলী,নাজমুল হাসান রুমি, নাঈম রনি,একরামুল হক রাসেল, মঈনুল হাসান শিমুল, ফকরুল হক পাবেল,গোলাম ছামদানী জনি, হাসানুল আলম সবুজ, খোরশেদ আলম মানিক, কবির আহম্মেদ, আদনান শরীফ, মিন্টু কুমার দে, সাব্বির সাকির, এম হাসান আলী, মোশরাফুল হক চৌধুরী পাবেল, আরাফাত রুবেল, মিজানুর রহমান মিজান, সালাউদ্দিন বাবু, মাহমুদুল করিম, হাসান হাবিব সেতু, মোহাম্মদ নুর নবী সাহেদ,জুয়েল সিদ্দিকী, রাকিব হায়দার, মেহেরাজ তৌসিফ, নুরুজ্জামান বাবু, তৌহিদুল ইসলাম, মাহবুব আলম প্রমূখ।

    অবস্থান কর্মসূচির শেষে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে নগরীর গুরুত্বপূর্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে অক্সিজেন চত্ত্বরে এসে সমাপ্ত হয় ছাত্রলীগের উক্ত প্রতিরোধ জমায়েত।