বাংলাদেশ মেইলঃঃ
আগামী বছরের জুনের মধ্যে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ওষুধ এবং টিকার জন্য স্থাপিত গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আরও আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত টিকা মে এবং জুন মাসের ভেতরে পাওয়ার আশা করছি।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য সরকারের ক্রয়চুক্তি হয়ে গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকার জন্য ক্রয়াদেশও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
“আমরা আশা করতে পারি, জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে। যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সে ভ্যাকসিন পাবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেবে বাংলাদেশকে। সে হিসাবে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসতে লাগবে ছয় মাস। আর কোভেক্সের টিকাও একবারে দেবে না।
“আমরা প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব। সে হিসাবে অক্সফোর্ডের টিকা দিতে লাগবে ৬ ছয় মাস। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা দিতে প্রায় বছর খানেক সময় লাগবে।”