ঘরের আগুনে পুড়ছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি

    বাংলাদেশ মেইল—–

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সাবেব মন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানকে নিয়ে কটুক্তি করে বিএনপির একটি গ্রুপ বক্তব্য দেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপজেলায় পাল্টা কমিটি ঘোষণা দেন। কমিটি ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে বিএনপি নেতা আলী আব্বাস ও শেখ মহিউদ্দীন শার্টের কলার ধরে টানা হেছড়া করতে দেখা গেছে। উপস্থিত তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। তৃণমূল নেতা কর্মীরা দলের মধ্যে যারা বেশৃঙ্খলাকারী তাদের দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন। উপস্থিত নেতা কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে হট্টোগোল সৃষ্ঠি করলে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসহায় হয়ে পড়ে।

    মঙ্গলবার  (৫ জানুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় বিএনপির পাল্টা কমিটিতে বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল, সদস্য সচিব এডভোকেট মহিউদ্দীন সিকদার।

    বাঁশখালী পৌরসভার আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম হোসাইনী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ফারুকী, সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন আজগর, বোয়ালখালী উপজেলায় আহ্বায়ক শওকত আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল পাশা, সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান, বোয়ালখালী পৌরসভায় হাজী আবুল কালাম আবু সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী, লোহাগাড়ায় আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী সদস্য সচিব সালাহ উদ্দীন চৌধুরী সোহেল।

    চন্দনাইশ পৌরসভার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, সদস্য সচিব মোরশেদ আলম মিন্টুসহ ৬টি কমিটি গঠন করা হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস এই কমিটিগুলো ঘোষণা দেয়ার সাথে সাথে উপস্থিত নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা হট্টোগোল সৃষ্ঠি হয়। উপস্থিত নেতা কর্মীরা সাংবাদিকদের সামনে হট্টোগোল শুরু করলে শেষ পর্যন্ত যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস নেতা কর্র্মীদের কাছে ক্ষমা চান এবং নিজের এলাকা আনোয়ারাসহ যেসব এলাকায় কমিটি দিতে পারেনি দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি দেয়া হবে বলে জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আবু, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল জলিল চৌধুরী, আব্দুল মোনাফ, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানসহ ৬৩ জনের আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

    দলের বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দলের হাইকান্ডের নিকট জানানো হবে বলে জানান সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান। এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বৈধ কমিটির সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমি বৈধ কমিটির সাথে আছি, আমার অজান্তে কেউ আমার নাম ব্যবহার করলে আমি তাদের সাথে নেই। মূলত তারা দলের সাথে প্রতারণা করতেছে, আমি দলের বৈধদের সাথে আছি, সর্ব সম্মতিক্রমে আমাদের কমিটিগুলো করা হয়েছে। আমাদের নিয়ে যারা অপরাজনীতি করতে চাচ্ছে তাদের দল থেকে বহিস্কার করে দলকে সুসংগঠিত করার দাবি জানান। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যারা কমিটি দিয়েছে তারা কমিটি দেয়ার বৈধতা নেই, যারা দলের বিরুদ্ধে এবং হাইকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিএনপির হাইকান্ডের কাছে অনুরোধ জানানো হবে বলে তিনি জানান।