বাংলাদেশ মেইল ::
নিখোঁজের প্রায় চার সপ্তাহ পর লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ১২টার দিকে লোহাগাড়া উপজেলার দরবেশহাট এলাকায় একটি খামারের পাশে তার ‘গলিত মরদেহ’ পাওয়া যায়।
নিখোঁজের ঘটনাটি শুরুতে অপহরণ বলে ধারনা করলেও শেষ পর্যন্ত লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার নতুন মোড় নিলো। কি কারনে, কারা তাকে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত কিছু না জানালেও সন্দেহের তীর তার দুই রোহিঙ্গা কর্মচারীর দিকে।
আনোয়ার হোসেন লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পেশায় গরু ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার পদুয়ার আহমদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও আনোয়ার হোসেনের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে আনোয়ার হোসেন পদুয়ার গরুর বাজারে ছিলেন। বিকেলে ও রাতে তিনি আর ঘরে ফেরেননি। রাত থেকে তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। সারা রাত ঘরে না ফেরায় স্বজনসহ তাঁর বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে খোঁজ নেওয়া হয়। কোথাও তাঁর খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর ) লোহাগাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।
আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মো. সেলিম জানান, ‘আমার বড় ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। এরপর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। ঘটনার পরে হঠাৎ ২ ই জানুয়ারী অপরিচিত এক ব্যক্তি আমার মুঠোফোনে কল করে প্রথমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে ওই ব্যক্তি দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে আমার ভাইকে ছেড়ে দেবেন বলে জানান। পরে মুটোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আজ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
হত্যাকারী হিসেবে নিহত আনোয়ারের দুই কর্মচারীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি পুলিশ।