যতীন্দ্র সেনের ভবন রক্ষায় আইনি লড়াই চালানোর অনুরোধ সুজনের

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত দেশপ্রিয় যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত, যাত্রা মোহন সেন (জেএম সেন) গুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্তের বাড়ি দখল করে নেওয়াকে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন।

    বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের স্মারকলিপি গ্রহণকালে চসিক প্রশাসক এ মন্তব্য করেন।

    স্মারকলিপিতে বিশেষ শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন জেএম সেন ভবন ভাঙা চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করে ২০১৮ সালের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রামের বিপ্লবী তথা ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতি রক্ষার্থে জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় চসিক প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

    তিনি এ বাড়ি রক্ষার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান এবং এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

    এ সময় গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি মানিক চৌধুরীর ছেলে কল্পতরু চৌধুরী কাজল, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্তের দেড়শ’ বছরের পুরনো বাড়িটি শুধু আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্থান নয় এটি বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের সাহসী তরুণের সাহসী ঠিকানা।

    তাই এই স্মৃতি জাতীয় স্বার্থে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভাগ্যক্রমে বাড়িটি অপাতত রক্ষা পেল, কারণ অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের বাড়ি এর পাশে ছিল।
    তিনি বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
    প্রশাসক বলেন, এ রকম আরও বহু ঐতিহাসিক স্মৃতিধন্য স্থান দখল হয়ে গেছে দখলবাজ দুর্বৃত্তদের হাতে। এসবও আমাদের রক্ষা করতে হবে।

    তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য বাড়িটি রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখবেন বলে জানান।