নগরীতে নির্বাচনী সংঘর্ষ- বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরকে প্রধান আসামী করে মামলা

    বাংলাদেশ মেইলঃঃ

    নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলি এলাকায় চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার পর ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

    বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নিহত আজগর আলী বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরকে এক নম্বর আসামি করে মোট ১৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।

    আসামিরা হলেন- মো. আবদুল কাদের (৫০), হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল (৪০), ওবাইদুল করিম মিন্টু (৪৫), আবদুল ওয়াদুদ রিপন (৪২), আবদুর রহিম রাজু (৪৫), আসাদ রায়হান (৩৫), আলাউদ্দিন আলো (৩৫), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ (৪৮), সালাউদ্দিন সরকার (৪৫), দেলোয়ার রশিদ (৪২), মো. আলমগীর (৪৫) ও আবদুন নবী (৪৭)।

    এছাড়া অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ মেইলকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, নিহত আজগর আলী বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু বাদি হয়ে ১৩ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

    মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করবে।
    মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী,  সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মো. আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান। নিহত আজগর আলী বাবুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক।

    মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের পর মোগলটুলীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আরও সাতজনকে আটক করা হয়। তারা সবাই গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আটকদের মধ্যে চারজন নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক বলে জানা গেছে।

    আটক ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরসহ অন্যদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।