পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

    বাংলাদেশ মেইল ::

    পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় এ আন্দোলন শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এসে অবস্থান নেয়।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার প্রকোপ দেখা দেয়ায় অনেক বিভাগ পরীক্ষা না নিয়েই বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষা নেয়া শুরু করে। পরীক্ষাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা চলে এসেছে। হল খোলা না থাকায় চট্টগ্রাম শহরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে কটেজগুলোতে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হঠাৎ করে পরীক্ষা স্থগিত করায় তাদের উপর মানসিক চাপ বেড়েছে।

    এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাস এবং পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিকলি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরি জীবনেও তার প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সুতরাং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চাকরি জীবনকে মাথায় রেখে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক মত পোষণ করলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।

    এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চাকরিজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করে দেয়।
    তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীরা কিছুদিন ধৈর্য্য ধরলে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়া হয়ে ।

    এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলমান বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ডিনস কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত এসেছে যে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা চালু রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা তাদের সাথে কথা বলে একটা সুন্দর সমাধানে যাওয়ার চেষ্টা করতেছি।