২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামী ইকবাল গ্রেফতার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেনকে রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

    মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, মুফতি হান্নানের নির্দেশে ইকবাল মূল মঞ্চে বোমা নিক্ষেপ করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ইকবাল। ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও পরে হরকাতুল জিহাদের জঙ্গী কর্মকাণ্ডে জড়ায় ইকবাল।

    ঘটনার ১৭ বছর পর মঙ্গলবার রাত ৩ টায় রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেনকে। র‍্যাব বলছে, গ্রেনেড হামলায় ইকবাল হোসেন সরাসরি জড়িত ছিল। গ্রেনেড হামলার পর প্রথমে ঝিনাইদহ, পরে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যায়। ২০২০ সালে দেশে এসে সে আবার জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে বলেও জানান র‍্যাব মহাপরিচালক। গ্রেনেড হামলায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানায় র‍্যাব মহাপরিচালক।
    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় দণ্ডিত ৩৩ আসামি কারাগারে থাকলেও পলাতক ছিলেন ১৬ জন। ইকবাল গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন পলাতক রইলেন ১৫ জন।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় নানা প্রতিকূলতা পেরুনোর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় দেয় বিচারিক আদালত।

    ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়।

    তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয় আরও ১১ জনের।রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে যে ১৬ বছর আগে ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায়’ আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল, তা উঠে এসেছে ২১ অগাস্ট মামলার রায়ে।

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

    তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত ও সাক্ষ্যে জানা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই এ হামলার ছক করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে এসেছিল হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড।