জিয়াউর রহমানই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন -শ.ই রাহী

    বাংলাদেশ মেইল ::

    উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ- সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী বলেছেন, সংগঠনকে তৃনমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করতে হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে। একজন আদর্শবান নেতা হতে হলে তার দেখানো পথই আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান না হলে এদেশে আওয়ামী লীগসহ অনেক দলই রাজনীতি করার সুযোগ পেতো না। শহীদ জিয়া একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে দেশে সকল দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

    শুক্রবার উত্তর সাতকানিয়া কেঁওচিয়াস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।বর্তমান সরকার হিংসাপরায়ন হয়ে স্বাধীনতা অর্জনে প্রদত্ত বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়া বীরউত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যদিও এই খেতাব বাতিল করার সাংবিধানিক ও আইনগত কোন সুযোগ নেই বর্তমান সরকারের।

    স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র সরকারের নগ্ন রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধ, বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গৃহবন্দী থেকে নি:শর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন শফিকুল ইসলাম রাহী।

    সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ফৌজুল কবির রুবেলের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জামাল হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফৌজুল কবির, বিএনপি নেতা আবুল হাশেম, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সহ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আবছার, ধর্মপুরের জয়নাল আবেদীন, মনছুর, আজিজ সিকদার, সৌরভ, মফিজুর রহমান, পুরানগড়ের ওবায়দুল আরাফাত, তাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, ইদ্রীস আজাদ, বাজালিয়ার মনির আহমদ, মুহাম্মদ ফোরকান, রাশেদ, মহিউদ্দীন, মোহাম্মদ তারেক, মোহাম্মদ বেলাল, আরিফ, ফরহাদ, কেওচিয়ার নাজিম উদ্দিন, কামাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ রাশেদ, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আনোয়ার, ইমন, মিশকাতুন নবী, ইদ্রীছ, আরিফ, মোহাম্মদ মফিজ, দিদার, আবদুল মোমেন, মোহাম্মদ ফারুক, মোহাম্মদ রবিউল, আবদুল্লাহ, খাগরিয়ার মোহাম্মদ জামাল, কালিয়াইশের মোহাম্মদ মিজান প্রমুখ।