বাংলাদেশ মেইল ::
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের গুলিতে নিজেদের চারজন কর্মি নিহত হয়েছে বলে দাবি করে চমেক হাসপাতালে অবস্থান নিয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মিরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছে ৪ জন নিহত ব্যাক্তির মরদেহ। চমেকে নেতাকর্মীদের সাথে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি হারুন ইজহার ও মাওলনা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ নেতৃবৃন্দ অবস্থান করছেন।
উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে মিডিয়াকে ব্রিফ করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম। জান্নাতুল ইসলামের অভিযোগ প্রশাসনের নির্দেশে নিহতদের ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হেফাজতে নেতারা নিহতদের কোন ধরনের পোস্ট মর্টেম করতে নারাজ। তারা নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নেয় বিকেল থেকেই। নিহতদের তিনজন মাদ্রাসা ছাত্র, একজন পেশায় দর্জি বলে জানা গেছে।
হাটহাজারীতে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষে রাউজানের স্কুল ছাত্র নিহত
নিহত চারজনের একজন চট্টগ্রামের রাউজানের এক স্কুল ছাত্র ।নিহত স্কুল ছাত্রের নাম ওয়াহিদুল ইসলাম রুমান (১৭)। সে রাউজান পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বেরুলিয়া এলাকার সৈয়্যদুল হকের ছেলে এবং রাউজান সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
লেখাপড়ার পাশাপাশি সে হাটহাজারীতে একজন ট্রেইলার হিসেবে কর্মরত ছিল। ২ ভাই ৪ বোনের মধ্যে রুমান সবার ছোট।
নিহত রুমানের বড় বোন বলেন, আমার ভাই আন্দোলনকারীদের মিছিলে ছিল না। মিছিলের সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে তার বুকে গুলি লাগে।
এ সম্পর্কে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানে আলম জনি বলেন, বেরুলিয়া এলাকার একজন স্কুল ছাত্র নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। সে হাটহাজারীতে ট্রেইলারের দোকানে কাজ করত।
বাইরে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ছাত্র, পুলিশ সদস্য ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতি রয়েছে। পুরো এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চমেক এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।