আবারো শুরু ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম

    বাংলাদেশ মেইল ::

    করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের জারি করা কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে উচ্চ ও নিম্ন আদালত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সীমিত আকারে বিচারকার্য চলবে। নিম্ন আদালতে শুধু জামিন ও রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। এক্ষেত্রে কোন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা যাবে না।
    জানা গেছে, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ সপ্তাহে তিনদিন ভার্চুয়ালি শুনানি করবে। প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ বিভাগের বিচার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। এছাড়া ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে প্রতি সোমবার ও বুধবার সকাল ১১টা হতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে অতীব জরুরী বিষয়ের শুনানি করবেন। পাশাপামি হাইকোর্ট বিভাগে চারটি বেঞ্চে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি শুনানি হবে। এর মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সকল প্রকার রিট মোশন, বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সকল প্রকার দেওয়ানী মোশন, বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সকল প্রকার ফৌজদারী মোশন এবং বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চে কোম্পানি আইনের মামলাসমূহের শুনানি হবে।

    এছাড়া নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রদত্ত জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জামিননামা দাখিল করতে হবে।

    তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এভাবেই পরিচালিত হবে উচ্চ ও নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম।