শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেলো সিটি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    কেভিড ডি ব্রুইনের গোলে ম্যাচের প্রায় শেষ পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। মাত্র ছয় মিনিট বাকি থাকতে মার্কো রেউস ম্যাচে সমতায় ফেরালে ড্র হতে চলা ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন ফিল ফোডেন। মঙ্গলবার ইতিহাদে চ্যাম্পিয়নস লীগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনালের পথে এগিয়ে রইলো ম্যানচেস্টার সিটি।
    ঘরের মাঠে ম্যান সিটি বল দখলে এগিয়ে থাকলেও প্রথম সুযোগটি আসে ডর্টমুন্ডের সামনে। সপ্তম মিনিটে ডি-বক্স থেকে জুড বেলিংহামের আড়াআড়ি শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক এদেরসন।
    ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় সিটি। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার এমরে কানের ভুলে বল পায় তারা। ডি ব্রুইনে বল নিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সের ভেতর বাঁ দিকে বাড়ান ফোডেনকে। তার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে কাট ব্যাক করেন রিয়াদ মাহরেজ। কাছ থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান ডি ব্রুইনে।
    খানিক পরেই আবার এগিয়ে যেতে পারত সিটি। ৩০তম মিনিটে এমরে কান রদ্রিকে ফাউল করার দায়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলায়।
    ৩৭তম মিনিটে বল জালে জড়িয়েও ফল পাননি ডর্টমুন্ডের বেলিংহাম। ডি-বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করতে কিছুটা সময় নেন এদেরসন। ছুটে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান বেলিংহাম। এই মিডফিল্ডার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পায়ে আঘাত করায় ফাউলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, আগে বল স্পর্শ করেছিলেন তিনি।
    বিরতি থেকে ফিরে সুবর্ণ সুযোগ আসে ডর্টমুন্ডের প্রাণভোমরা আর্লিং হালান্দের সামনে। সতীর্থের থ্রু বল পেয়ে এই তরুণ ফরোয়ার্ডের নিচু শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান এদেরসন।
    ৬৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ডি ব্রুইনের পাসে ফোডেনের নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।
    ৮৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড। হালান্দের পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্কো রেউস।
    ম্যাচের ফল যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই শেষ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ফোডেন। ডি ব্রুইনের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে ইলকাই গিনদোয়ান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফোডেনকে পাস দেন। সহজেই বল জালে পাঠান এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।