খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

    বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

    খালেদা জিয়ার করোনা সংক্রান্ত উপসর্গগুলো নেই জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, উনার অবস্থা অনেকটা উন্নতি হয়েছে। উনার অবস্থা শুধু স্থিতিশীল নয়, বরং স্থিতিশীল থেকে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে উন্নতি লাভ করছেন।

    করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর আজ ১৪তম দিন শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার অক্সিজেন সেচুরেশন স্বাভাবিক সময়ের মতোই ৯৮, ৯৯ সব সময়ে পাওয়া গেছে। তার খাবারের রুচিও আগের মতো আছে। তিন দিন ধরে তার তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। তার কোন কফ-কাশি নেই। করোনা সংক্রমনের পর স্বাভাবিকভাবে দুর্বলতা দীর্ঘ সময় থাকে। তারপরও খালেদা জিয়ার সেই দুর্বলতা আগের থেকে কমছে। আজকে তার দুর্বলতা অনেক কম। খালেদা জিয়া নিজেও বলেছেন, গত মঙ্গলবারের থেকে আজ একটু ভালো লাগছে।

    বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া করোনা থেকে ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা উন্নতি হয়েছে তার। এখন তার অবস্থা শুধু স্থিতিশীলই নয়, অল্প অল্প করে উন্নতি করছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তার ব্লাড টেস্ট করানো হবে। আর আগামী সপ্তাহে করোনা টেস্টও করা হবে।

    খালেদা জিয়ার বাসায় করোনায় আক্রান্ত ৮ জন স্টাফের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) চেয়ে তারা ভালো আছেন।

    ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে ছিলেন ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।

    নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক একটি টিম চিকিৎসা শুরু করেছে।

    বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও গুলশানে ফিরোজার বাসায় তার গৃহকর্মীসহ আরো ৮ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকিরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    ৭৫ বছল বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায়, শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।