অতিরিক্ত তাপমাত্রার পুরো সপ্তাহে প্রয়োজন পানি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    অতিরিক্ত তাপমাত্রার এই সাতদিন সুর্য ডিরেক্ট আমাদের মাথার উপর থাকবে যার ফলে আমাদের শরীরে পানি দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এই শুকিয়ে যাওয়া পানি শুন্যতা দুর করতে বেশি বেশি পানি পান করা সবার জন্য অতি জরুরী।

    সাধারণভাবে মানুষের শরীর নিজেই নিজেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করে। কিন্তু অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এই প্রক্রিয়া ভেঙে পড়তে পারে। তাপমাত্রার পাশাপাশি আর্দ্রতা এবং শরীরে পানি ও লবণের পরিমাণ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া গরমের দিনে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হলে নিতে হবে কিছু বাড়তি সতর্কতা। নইলে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকের শিকার হয়ে মারা যেতে পারে মানুষ।

    যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ সেন্টারের ম্যাথিউ হিউবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মানুষ কতটা মানিয়ে নিতে পারবে সে বিষয়ে গবেষণা করছেন। দ্য গার্ডিয়ানকে ম্যাথিউ বলেন,‘বাতাস শুকনো থাকলে একটা কাবাব পুড়িয়ে খাওয়ার মতো পরিবেশেও মানুষ কিছুটা সময় টিকে থাকতে পারে। কিন্তু ওই একই তাপমাত্রায় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে আমরা পুড়ে মারা যাব। ঘাম ঝরিয়ে নিজের শরীরকে ঠান্ডা করার প্রায় বিরল সক্ষমতা আছে মানুষের। কিন্তু এটা কেবল অপেক্ষাকৃত শুকনো পরিবেশেই কার্যকর হয়।’

    গবেষকদের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, খুবই শুষ্ক আবহাওয়ায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও মানুষ খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতার মধ্যে মানুষের জন্য নিরাপদ তাপমাত্রার সীমা ৩০ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিরিক্ত গরমে মানুষের জন্য কাজের নিরাপদ তাপমাত্রার সীমা নির্ধারণে বিজ্ঞানীরা এমন একটা হিসাবের কথা বলেন, যেখানে তাপ ও আর্দ্রতা দুটোকেই হিসাব করা হয়।

    আগামী সাত দিন (২৩-২৯ মে) নিজে বেশি বেশি পানি পান করুন এবং পরিবারের সকলকে বেশি করে পানি পান করতে বলুন।

    বিজ্ঞানিদের ভাষায় এই সময়কে বলা হচ্ছেঃ
    (EQUINOX)
    (Astronomical event where the Sun is directly above the Earth’s equator).

    নিজে সুস্থ থাকুন, সচেতনতার মাধ্যমে অপরকে সুস্থ রাখুন।

    সকল প্রানী কে পানি পানে সহয়তা করুন। পাখীদের পানি পানের সুবিধার্থে আপনার বাসার বারান্দা, বেলকুনিতে মাটির সরা কিংবা থালা বা যে কোনো প্রশস্ত পাত্রে পানি রাখুন।