মহসিন কলেজ শিক্ষার্থী ইমন হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় সহপাঠীরা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী আলমগীর ছালাম ইমন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইমনের সহপাঠীরা।

    শনিবার (২৯ মে) সাড়ে ১১টয় সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সম্মুখে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা, ইমন হত্যার মূল হোতা ভূমিদস্যু প্রবাসী খোরশেদ আলম ও তাঁর ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

    মঙ্গলবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মহসিন কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্র আলমগীর ছালাম ইমনকে। বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব চরখিজিরপুর গ্রামের মোবারক আলী ফকিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দীম মামুন এবং সভাপতিত্ব করেন মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ। মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে নিহত ইমনের বড় বোন তানভীর সালাম বলেন, ‘আমাদের জায়গা ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম দখল নেওয়ার জন্য মাঝরাতে ৭০/৮০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ শুরু করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে যায় এবং পরে বাড়ির পাশের রাস্তায় ইমনকে পেয়ে ধরে নিয়ে যায় খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী বাহিনী। কিছু দূর নিয়ে ইমনকে অমানুষিক নির্যাতন করে ও পিটিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় তারা।’

    নিহত ইমনের বড় বোন আরো বলেন, ‘আমাদের জায়গায় খোরশেদ আলম দখলে নিতে কয়েকবার চেষ্ঠা করেছিলো। এ নিয়ে থানায় একাধিকবার বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু এতে থানা পুলিশ কোনো সমাধান দেননি। স্থানীয় সাবেক মেম্বার হাবিবের লোকজন এবারের শবে বরাতের রাতে জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশের জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

    মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাঝরাতে মহসীন কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আলমগীর ছালাম ইমনের হত্যা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ইমন হত্যার মূল আসামি ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম, জনি, জাহাঙ্গীর, আবুল মনসুর, জাগের হোসেন, হাবীব মেম্বার, তুষার, হাশেম, সৈয়দ ছর্দার সহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।