বাংলাদেশ মেইল ::
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস থেকে ২৪২ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা। এরইমধ্যে শ্রীলঙ্কার ২ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
এদিকে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে শেষ ৩৭ রানে ৭ উইকেট হারায়। টপঅর্ডারের কয়েকজন ছাড়া বাকিরা কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
অভিষেক হওয়া লঙ্কান স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রম বাজিমান করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ইনিংসেই ৩২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭ মেডেন ও ৯২ রান দিয়ে ৬টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সুরাঙ্গা লাকমল ও রমেশ মেন্ডিস।
এর আগে শ্রীলঙ্কার রান পাহাড়ের জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। প্রথম টেস্টে ৯০ এর ঘরে আউট হওয়া তামিম ইকবাল এদিনও ফিরেছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নামে দু’দল। যেখানে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন। প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে সাইফ ২৫ করে ফেরেন। তবে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত রমেশ মেন্ডিসের বলে শূন্য রানে আউট হন।
কিন্তু উইকেটে অবিচল থাকেন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে ৫২ রান তোলেন। তবে নড়বড়ে নব্বইয়ে ফের প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই বাঁহাতি তারকা ওপেনার। জয়াবিক্রমের বলে থিরিমান্নেকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৫০ বলে ১২টি চারে ৯২ রান করেন।
এরপর ছোট ছোট জুটি গড়ে ফিরে যান মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিমও। মুমিনুল ১০৪ বলে ৭টি চারে ৪৯ রান করে মেন্ডিসের বলে মাঠ ছাড়েন। ৬২ বলে ৪০ করেন মুশফিক। আর জয়াবিক্রমের চতুর্থ শিকার হয়ে আউট হন লিটন দাশ (৮)। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ এবং তাইজুল ইসলাম ৯ রান করেন। শেষ তিনজনেরও কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। যদিও নটআউট ছিলেন রাহী।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে। দলনায়ক দিমুথ করুনারত্নের ব্যাট থেকে আসে ১১৮ রান। এছাড়া ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ ও নিরোশান ডিকওয়েলা করেন অপরাজিত ৭৭ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া তাইজুল, শরিফুল ও মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।