বাংলাদেশ মেইল ::
বাংলাদেশী বংশদ্ভূত মেরিনা আহমেদ লেবার পার্টি থেকে লন্ডন এসেম্বলী মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন । প্রথম বারের মতো নারী হিসেবে তিনি গ্রেটার লন্ডন এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হলেন।
এর আগে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত মুরাদ কোরেশি লেবার পার্টি থেকে জিএলএ সদস্য হিসাবে টানা ১২ বছর দায়িত্বে করেছেন। ২০০৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
একজন মেয়র ও ২৫ জন নির্বাচিত সদস্য নিয়ে জিএলএ’র নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ তথা গ্রেটার লন্ডন এসেম্বলি গঠিত।
এসেম্বলির ২৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন আসনভিত্তিক নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচিত হন। বাকি ১১ জন সব দলের প্রাপ্ত মোট ভোটের আনুপাতিক হিসাব অনুযায়ী নির্বাচিত হন।
মুরাদ কোরেশির অবস্থান চতুর্থ স্থানে থাকায় তিনি তিন গেলবার আর নির্বাচিত হতে পারেননি। তাই বিগত এক যুগের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালে সিটি হলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো প্রতিনিধি ছিল না।
এসেম্বলির সদস্যরা সিটি হলে লন্ডনবাসীদের প্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের কাজ যাচাই-বাছাই করেন। তারা মেয়রের কৌশল, সিদ্ধান্ত এবং বিভিন্ন কাজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জনস্বার্থ রক্ষা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন।
মেয়রের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিটির উন্নয়ন, ব্যবসা ও অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, হাউজিং, পুলিশ, ট্রান্সপোর্ট ও রিজেনারেশন ইত্যাদি দেখাশোনা।
অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে পরবর্তী মেয়র কে হবেন তা জানার জন্য লন্ডনের রাজধানীজুড়ে ভোট কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
লেবারের সাদিক খান পুনর্নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রচারের শেষ দিনগুলিতে সমীক্ষা অনুযায়ী কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষ শন বেইলির উপর তার অবস্থান এগিয়ে ছিলো ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ভোট গননায় লেবার প্রার্থী সাদিক খানের ভোট ২৯.৬ শতাংশ, শন বেইলির ৪৭ শতাংশ ভোট গননা করা হয়েছে ।
লন্ডনের ভোটাররা বৃহস্পতিবার, ৬ মে ভোট প্রদান করেছেন ।
দেশজুড়ে ব্যালট পেপারে স্কটিশ এবং ওয়েলশ স্থানান্তরিত সংসদ, লোকাল কাউন্সিল এবং অন্যান্য অঞ্চলের মেয়রদের প্রার্থীও রয়েছেন।
মিঃ সাদিক খানের পক্ষে লন্ডনে জয়ের আশা থাকলেও রাজধানীতে ভোটদান ব্যবস্থার কারণে চূড়ান্ত ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৮ ই শনিবার বিকেল পর্যন্ত। আজ সকাল সাতটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
গত নির্বাচনে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান জিএলএ’র প্রথম মুসলমান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।