টিনুর নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ
    চকবাজারে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৭ জন। বুধবার (১৬জুন) দুপুর একটার দিকে চকবাজারের  প্যারেড কর্নার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

    চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম জানান, চট্টগ্রাম কলেজের হোস্টেল গেইট থেকে কলেজের চার ছাত্রকে ধরে এনে মারধর করে স্থানীয় টিনু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। আহত চারজনকে  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহতরা হলেন, ইংরেজী বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাইমুন, ডিগ্রী শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মালেক রুমি, গণিত তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তোরাব, গণিত চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাফায়েত হোসেন রাজু। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    চকবাজারের সন্ত্রাসী নুর মোস্তফা টিনু গ্রুপের  সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীদের সাথে বহিরাগতরাও হামলায় অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ মাহমুদুল করিমের ।

    স্থানীয়রা জানান,  চকবাজারের কেয়ারী মার্কেটের বিপরীতে হঠাৎ এক ছাত্রকে ধরে এনে মারধর করা হয়। এসময় টিনু উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সভাষ মল্লিলের অনুসারীরা ঘটনার সুত্রপাত করেন । দফা দফায় আরো তিনজনকে মারধর করা হয়।পরে মাহমুদুল করিমের অনুসারীরা মিছিল করে জড়ো হন।ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    তবে কলেজ ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, সভাপতি গ্রুপের বেশ কয়েকজন ছেলে বন্ধ হোস্টেলে বসে মাদক সেবন করে। সেখান থেকে একজনকে রাম দা সহ আটক করে পুলিশ। পরে তারা উত্তেজিত হয়ে বিনা কারণে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালায়। ‘

    চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মারামারিতে আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    গেল বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নূর মোস্তফা টিনুকে র‍্যাব চকবাজার এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি শটগান ও ৭২টি গুলি উদ্ধার করা হয় তখন। এই ঘটনায় র‍্যাব পাঁচলাইশ থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় পুরোনো দাপট ফিরে পেতে টিনু ব্যবহার করেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষকে। সর্বশেষ আজ বুধবার চকবাজার ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের মহড়া হিসেবে সংঘর্ষে জড়ালেন ছাত্রলীগের দুই পক্ষ।