ড্র হল ব্রাজিল বনাম ইকুয়েডর ম্যাচ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করল ব্রাজিল ফুটবল দল। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন এডার মিলিটাও। অন্যদিকে ইকুয়েডরের হয়ে গোল করেন অ্যাঞ্জেল মেনা। চার ম্য়াচে ব্রাজিল ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে ইকুয়েডরের ঝুলিতে এল তিন পয়েন্ট। আজ ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের আধিপত্য দেখা গেলও, দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক করেছে ইকুয়েডর।

    আজ ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোলটা করেন এডার মিলিটাও। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলার সুযোগের যে সদব্যবহার করেছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে ৩৭ মিনিটে একটা ফাউল আদায় করে নেন এমারসন। ১০ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক সবসময়ই যথেষ্ট বিপদজনক হয়। ফ্রি-কিক নিতে আসেন এভারটন। তিনি বক্সের মধ্যে বলটাকে ভাসিয়ে দেন। সুযোগ বুঝে বলে মাথাটা শুধু ঠেকিয়ে দেন মিলিটাও। কিছু করার ছিল না ইকুয়েডরের গোলরক্ষক হার্নান গালান্ডেজের। তারপর আর ব্রাজিলকে ফিরে তাকাতে হয়নি। গোলের পর সাম্বা ব্রিগেডের নাচও দেখতে পাওয়া যায়।

    আজকের ম্যাচে খেলতে নামেননি দলের অধিনায়ক নেইমার। ব্রাজিল এমনিতেই ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভালো জায়গায় ছিল। এই ম্য়াচের আগে তাদের ঝুলিতে ছিল ৯ পয়েন্ট। সেকারণেই কোচ তিতে দলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে কিছুটা বিশ্রাম দেন।

    তবে ম্যাচ চলাকালীন প্রথমার্ধেই ঘটে গেল এক দূর্ঘটনা। ব্রাজিল তখন ঘন ঘন ডানদিক-বাঁদিক করে ইকুয়েডরের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল। ঠিক এমন একটা সময় ইকুয়েডরের ২৩ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার মোজেস কাইস্যাডো বল দখলের লড়াইয়ে চোট পান। মাত্র ১৯ বছর বয়সি এই ফুটবলারের চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে তাঁকে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। দেখে মনে হচ্ছে, তাঁর পায়ের হ্যামস্ট্রিং পেশিতে খুব সম্ভবত চোট লেগেছে।

    যাইহোক, শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ইকুয়েডর। সাফল্যও আসে হাতেনাতে। ৫৩ মিনিটে অসাধারণ একটা গোল করে দলের সমতা ফিরিয়ে আনলেন অ্যাঞ্জেল মেনা। ইকুয়েডরের পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছিলেন এই মেনা। ৬ গজের দুরত্বে এনার ভ্যালেন্সিয়ার হেড থেকে বল তিনি পায়ে পেয়ে যান। তারপর অ্যালিসনকে পরাস্ত করতে তাঁকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। ২০২১ সালে প্রথম গোল খেল ব্রাজিল ফুটবল দল।

    দ্বিতীয়ার্ধে যত সময় এগিয়েছে, ইকুয়েডর ততই চাপ তৈরি করেছে। দুরন্ত ফুটবল খেলে তারা এগিয়ে এসেছে। ম্যাচের প্রথমার্ধে যেখানে রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করেছিল, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তারা ক্রমাগত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। ৬৩ মিনিটে রবার্তো ফারমিনহোর বদলে মাঠে নামেন ভিনি জুনিয়র। ৬৫ মিনিটে তিনি গোল করার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু সেটা তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের শেষের দিকে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটা পরিবর্তন করেন ব্রাজিল কোচ তিতে। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। ব্রাজিলকে অবশেষে ইকুয়েডরের কাছে আটকে যেতে হয়।