বাংলাদেশ মেইল ::
বৈশ্বিকভাবে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়মিতভাবে কমলেও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুই–ই বাড়ছে। উদ্বেগ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের চারটির মধ্যে তিনটি ধরনই (ভেরিয়েন্ট) বাংলাদেশে সক্রিয়। এই তিন ধরনের উৎপত্তি যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে।
সর্বশেষ সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এক সপ্তাহে (১৪–২০ জুন) বৈশ্বিকভাবে সংক্রমণ কমেছে ৬ শতাংশ। একই সময়ে মৃত্যু কমেছে ১২ শতাংশ। এই সময়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংক্রমণ কমেছে ৩০ শতাংশ এবং মৃত্যু কমেছে ৩১ শতাংশ। এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাংলাদেশে নতুন শনাক্ত রোগী বেড়েছে ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যু বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৫৮ জন করোনায় নতুন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার প্রায় ২০ শতাংশ। এই সময় মারা গেছেন ৮১ জন। গত তিন সপ্তাহে শনাক্তের হার ক্রমান্বয়ে বাড়তে দেখা গেছে। পাশাপাশি ১৪ জুন থেকে প্রতিদিন মৃত্যু ৫০ জনের বেশি ছিল।
দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক জনস্বাস্থ্যবিদদের মধ্যে উদ্বেগ আছে। কোভিড–১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বাংলাদেশের ৪০টি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ করা গেছে। দেশে করোনার ডেলটা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। এই ধরনের সংক্রমণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।