বাংলাদেশ মেইল ::
কক্সবাজারের নাফ নদীর তীরে মিলেছে আরেক শিশু লাশ। রবিবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল পাড়া নামক এলাকায় শিশুর মরদেহটি ভেসে আসে। লাশটি রোহিঙ্গা হিসেবে শনাক্ত হলেও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৩ জুন) ভোরে নদীর তীরে লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তাৎক্ষণিক ভাবে শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি ।
গতকাল শনিবারও (১২ জুন) এক নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। টেকনাফের হারাংখালীর নাফ নদীর তীর থেকে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহেদ হোসেন জানান, গতকাল তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের তিনজনই উখিয়ার বালুখালি ক্যাম্পে- ১১ সি-১৫ ব্লকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা জানে আলমের স্ত্রী সমজিদা,নুর শহিদা ও রশিদা -তিনজনের লাশ গতকাল উদ্ধার করা হয়েছিল৷ আজকে ভেসে আসা শিশুটিও তাদের পরিবারের হতে পারে। পরিবারটির কর্তা জানে আলম এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা আবুল হাসেম জানান, জানে আলম তার স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে গোপনে নৌকায় চেপে রওনা হয়েছিলেন। তার সাথে মোট পাঁচজন ছিলো। তাদের মধ্যে জানে আলমের স্ত্রী সমজিদা, দুই শিশু শহিদা ও রশিদার লাশ গতকাল মিলেছে। ‘।
স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। কেউ কেউ আবার স্বজনদের সাথে দেখা করতে ঝুঁকি নিয়ে যায় মিয়ানমারে।
তা ছাড়া সরকারের সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের পর থেকে নাফ নদীতে টানা চার বছর ধরে টেকনাফের স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরাও বন্ধ, নদীতে মাছ ধরার নৌকাও নেই। ফলে ভেসে আসা লাশগুলো রোহিঙ্গাদের হওয়াটাই স্বাভাবিক।