অবশেষে মুক্তি পেলেন এক নারীর সাজা খাটা অন্য নারী ‘ মিনু আক্তার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ‘এক নারীর সাজা খাটা অন্য নারী ‘ মিনু আক্তার। প্রায় তিন বছর  হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক  আসামির পরিবর্তে  কারাগারে থাকার পর মুক্তি মিলেছে মিনুর।

    বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন।

    মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান মিনু । বিষয়টি নিশ্চিত  করেছেন মিনুকে  আইনি সহায়তা দেয়া আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

    তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট ৭ জুন মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। একই সময়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্ত শেষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিলে তার ভিত্তিতে মিনুকে মুক্তির জন্য আদালতে মিনুর আইনজীবীকে বন্ড দিতে বলা হয়।’

    মুক্তি পাওয়ার পর জেলগেটে মিনু জানান, মর্জিনা তাকে ইফতারি, চাল, ডাল এসব দিবে বলে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। কুলসুম নাম ডাকলে তাকে হাত তুলতে বলেন। পরে তাকে একটা জায়গায় নিয়ে যান। তার নাম ডাকলে হাত তোলেন। পরে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ‘আমি তাদের বলছি আমি কুলসুম না, আমার নাম মিনু। কেউ শুনেনি। আমি তাদের বিচার চাই। বাঁচতে চাই।’

    জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ এলাকায় কোহিনুর আক্তার ওরফে বেবী নামে এক নারী খুন হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা করা হয়।ওই মামলায় কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমী নামে এক নারী গ্রেপ্তার হন।

    ২০০৮ সালে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কুলসুম আক্তার জামিন পান। এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত কুলসুমকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। রায়ের দিন আসামি কুলসুম আদালতে অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ২০১৮ সালের ১২ জুন মিনু নামের এক নারীকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার সাজিয়ে আত্মসমর্পণ করানো হয়। তখন আদালত মিনুকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকে প্রায় তিন বছর চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন মিনু।