রাজনীতি শফি আহমেদ চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    শনিবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী দলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    শনিবার (১৯ জুন) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক শফি আহমেদ চৌধুরীকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা অমান্য করার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন শফি আহমেদ চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাবে তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য ও সন্তোষজনক হয়নি বিধায় তাকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    বিএনপির একজন নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে শফী আহমেদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হয়েও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

    ‘১৯৮৬ সালের নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগ দেই’– উল্লেখ করে শফী আহমদ বলেন, ‘এরপর বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আমি সংসদ সদস্য হয়েছিলাম। এখনও স্থানীয় জনগণের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।’

    তিনি বলেন, দল থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে। আমি চিঠির জবাব দিয়েছি।

    চিঠিতে কী লিখেছেন– জানতে চাইলে শফী আহমদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করেছি। জনগণের চাপের কারণে যে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি– এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।’

    শফি আহমেদ চৌধুরী ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে সিলেট-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।