টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন ইতালি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চার চারবার বিশ্বকাপ জিতলেও ইউরোতে শুধু একবার শিরোপা ঘরে তুলেছে ইতালি। সেটাও ১৯৬৮ সালে। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হলো ইতালির। ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকার রোমাঞ্চে হারিয়ে ৫৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ট্রফি জিতেছে রবার্তো মানচিনির দল।

    ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে ইতালি। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার রোমাঞ্চের পর টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে ইতালি।

    টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড ও ইতালি। ঘরেই থাকছে নাকি রোমে যাচ্ছে, এটাই ছিল প্রশ্ন। সব প্রশ্নের জবাব মিলল আজ।

    তবে ম্যাচ শুরুর পরপরই রবার্তো মানচিনির অপ্রতিরোধ্য বাহিনীকে থমকে দেয় গ্যারেথ সাউথগেইটের দল।

    ম্যাচের তখন মাত্র দুই মিনিট। দুর্দান্ত এক গোলে ওয়েম্বলিতে লিড নিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে মাঝমাঠে বল এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার লুক শ।

    বল ঠেলেই দৌড় শুরু করেন। এদিকে মাঝমাঠ থেকে বল চলে যায় ডি-বক্সের ডান প্রান্তে। এদিকে ফাঁকায় ওত পেতে থাকা লুক শ হাত দিয়ে ইশারা দিলে ডান প্রান্ত থেকে বলটা ক্রস করেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার।

    বল মুহূর্তেই চলে আসে শয়ের পায়ে। গোলকিপার দোনারুমার ডান পাশে ছোট জায়গা দিয়ে দারুণ একটা ভলিতে বল জালে জড়ান এই ডিফেন্ডার।

    স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতায় ইংল্যান্ড। এটিই ছিল ইউরোর ফাইনাল ইতিহাসে দ্রুততম গোল।এই এক গোলের লিডের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।

    দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের চেপে ধরে ইতালি। ধারাবাহিক আক্রমণ সাজিয়ে ম্যাচের ৬৭ মিনিট সমতায় ফেরে মানচিনির শিষ্যরা।

    লরেঞ্জো ইনসিনিয়ের কর্নার থেকে ডি-বক্সের ভেতর হেড করেন মারকো ভেরাত্তি। সুযোগটি রুখে দেন জর্ডান পিকফোর্ড। ফিরতি বলে টোকা দিয়ে জালে জড়িয়ে ইতালিকে সমতার উল্লাসে মাতান লিওনার্দো বোনুচ্চি।

    ম্যাচের ৭৩ মিনিটে লিড নেয়ার দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় ইতালির। ইংল্যান্ডের ডিফেন্সের ওপর দিয়ে দেয়া ভেরাত্তির ক্রসটা ডি-বক্সের উপরে পড়লে শূন্যে থাকা বলটা ঠিকমতো গোল বরাবর রাখা সম্ভব হয়নি ডমিনিলো বেরার্দির পক্ষে।

    নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। এই ৩০ মিনিটেও কেউ লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে ম্যাচের ভাগ্য চলে যায় পেনাল্টি শুটআউটে।

    ইউরোর ইতিহাসে ১৯৭৬ সালের পর এটাই প্রথম ফাইনালে পেনাল্টি শুট আউট। সেবার চেক রিপাবলিকের সঙ্গে পশ্চিম জার্মানির ম্যাচটা টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল। ইতালি গোলকিপার ডোনারুমা দুটি শট ঠেকান। আর র‍্যাশফোর্ডের শট লাগে বারে।টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে নেয় ইতালি।

    ইউরো ফাইনালে /বিএম