বাংলাদেশ মেইল ::
চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। শনাক্তের উর্ধমুখি ধারায় লম্বা হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর তালিকাও। রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে গত দুই দিন ধরে মৃত্যুর সংখ্যা এখন দশের ঘরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (১৪ জুলাই) ৭৬৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে । একই সময়ে মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন ১০ জনের নাম। লকডাউনের বিধিনিষেধের মাঝেও করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল গতকাল । একদিনের ব্যবধানে করোনা শনাক্ত কমলেও, মৃত্যুর সংখ্যা এখনো দশের ঘরে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী মোট ২ হাজার ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ।মৃত ১০ জনের মধ্যে ৩ জন নগরের ও ৭ জন উপজেলার।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৭৬৮ জনসহ চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৫৫৫ জন। নতুন ১০ জনসহ এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৮১০ জন।
এদিন সরকারি বেসরকারি ১১ টি ল্যাবে সর্বমোট ২ হাজার ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৫৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাদের ৬৩৬ জন নগরের ও ৩১৯ জন উপজেলার বাসিন্দা।
সোমবার ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৮৪২ জনের মধ্যে ১৬৪ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১০৩ জনের মধ্যে ৬৩ জন, ১০৭৭ জনের এন্টিজেন টেস্টে ৩২৯ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১১১ জনের মধ্যে ৪২ জন, শেভরণে ১১৪ জনের মধ্যে ৭১ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫৪ জনের মধ্যে ২৭ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩০ জনের মধ্যে ২০ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৭০ জনের মধ্যে ৪০ জন,মেডিকেল সেন্টারে ২০ জনের মধ্যে ১২ জনের করোনা পজেটিভ ফল পাওয়া যায়।
বুধবার লোহাগাড়ায় ১২ জন, সাতকানিয়ায় ৭ জন, বাঁশখালীতে ৯ জন, আনোয়ারায় ৭ জন, চন্দনাইশে ১২ জন, পটিয়ায় ৩৬ জন, বোয়ালখালীতে ১৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৪ জন, রাউজানে ১৪ জন, ফটিকছড়িতে ৪২ জন, হাটহাজারীতে ৫৩ জন, সীতাকুণ্ডে ১৮ জন, মিরসরাইয়ে ২৯ জন ও সন্দ্বীপে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
গেল বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার প্রায় ১৬ মাস পর মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) শনাক্ত পৌছে হাজারের ঘরে । বুধবার চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলো আরো দশজন।
চট্টগ্রামে করোনায়/বিএম/আ.মা