দুদকের জালে ধরা পড়লো করোনার টেস্ট জালিয়াতি চক্র

    টেস্ট জালিয়াতি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    টেম্পারিং করে একদিনের মধ্যে করোনার পজিটিভ রিপোর্টকে নেগেটিভে পরিণত করে রিপোর্ট তৈরি ও সরবরাহের মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে টেস্ট জালিয়াতি চক্রের জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব সহকারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করোনা টেস্ট জালিয়াতি’র অভিযোগে এ  মামলা করেছে দুদক।

    এছাড়া ভুয়া নাম নিবন্ধন করে হাসপাতাল থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষার কিট উত্তোলনের মাধ্যমেও কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ল্যাব সহকারী ও ওয়ার্ডবয়ের বিরুদ্ধে।
    এ অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনাজপুরের দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম।
    মামলার এজহারে বলা হয়, প্রতারণা ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন ও বাড়তি অর্থ সংগ্রহ এবং বিদেশগামী বাংলাদেশিদের করোনা রিপার্টে টেম্পারিং করে আসামিরা। এছাড়া বিদেশগামী বাংলাদেশিরাই মূলত আসামিদের করোনা টেস্ট জালিয়াতি-র  টার্গেট ছিল বলে জনানো হয় এজহারে।
    মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামি ওয়ার্ডবয় মো. খোকন আলী, ল্যাব সহকারী খন্দকার আশরাফুল আলম রয়েল, অফিস সহকারী মো. মামুনুর রশিদ সরকার ডেপুটেসনে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের করোনার নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রে (ফ্লু কর্ণার) কর্মরত ছিলেন।
    আসামিরা অজ্ঞাতনামা অন্যান্যদের যোগসাজশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গত দেড় মাস ধরে হাসপাতাল বুথ থেকে এবং বাহির থেকে ভিটিএম টিউব সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ আদায় এবং করোনা রিপোর্ট পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ করার অসৎ উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করে।
    টেস্ট জালিয়াতি/বিএম