হতাশ বেপারিরা চান প্রণোদনা
    দক্ষিণ চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গরুর বাজার সরকার হাট ক্রেতাশূন্য

    ইকবাল বাহার,আনোয়ারা প্রতিনিধি ::

    দক্ষিন চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গবাদি পশু বিক্রির বড় হাট আনোয়ারার সরকার হাটের কদর বেশ পুরোনো। করোনা মহামারির প্রভাবে এ বাজারে ৩ শতাধিক গবাদি পশু বেপারীর মাঝে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ব্যবসায় চলমান মন্দা অবস্হা চলতে থাকলে বিপুল লোকসানের আশংকা করছেন গরু বেপারিরা।

    কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের এমন সময়ে  হাটে জমজমাট গরু, মহিষ, ছাগল, বেচাকেনার ধূম পড়তে দেখা গেলেও বর্তমানে তার বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার সকাল থেকে এ হাটে ক্রেতা – বিক্রেতাদের ভীড় সামলাতে গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি বাজার পরিচালনা কমিটির শ্রমিকদের হিমসিম খেতে দেখা যেত।  এখন এ হাটে  করোনার প্র্ভাবে  বিক্রেতারা গবাদি পশু নিয়ে হাটে ক্রেতার অপেক্ষায় সময় পার করেছেন। এ নিয়ে গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।

    জানা যায়, সহজ যোগাযোগ ব্যবস্হা ও গবাদি পশু কেনাবেচার সহজতর হওয়ার কারনে পটিয়া আনোয়ারা বাশঁখালী (পিএবি) সড়কের তৈলারদ্বীপ সেতু সংলগ্ন সরকার হাটে দেশী গবাদি পশু কেনা বিক্রির জন্য আনোয়ারা ছাড়িয়ে চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও জনপ্রিয়তা লাভ করে আনোয়ারার সরকার হাট। প্রত্যেক বছর ব্যাপক লোক সমাগম হতে দেখা গেলেও  বর্তমানে হাটে বিক্রেতা থাকলেও রয়েছে ক্রেতা সংকট।

    পশু বিক্রেতা মো.রাসেলের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, গত ১০ বছরের অধিক সময় ধরে সে এ হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা করেন। দেশের কুষ্টিয়া,দিনাজপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দেশী গরু মহিষ এ হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। বর্তমানে সরকার হাটে ছোট বড় ৫ শতাধিক গরু ব্যবসায়ী রয়েছে। লক ডাউনের আগে হাটের ব্যবসায়ীরা প্রতি বাজারে এ হাটে ১০ হাজারের বেশি গবাদি পশু গরু মহিষ ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখতেন। তার মধ্যে প্রতি বাজারে ৫/৬ হাজার পশু বেচাকেনা হত। কিন্তু বর্তমানে করোনা ও লকডাউনের কারনে হাটে প্রচুর গবাদি পশু থাকলেও ক্রেতা নেই।

    অপর গরু ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, কোরবানের এ ভরা সৌসুমে সরকার হাটে জমজমাট গরু মহিষ বেচাকেনার কথা থাকলেও এখন হাটে গরু বেচাকেনা নেই,যার কারনে ইজারাদার ব্যবসায়ী সবার লোকসান গুনতে হচ্ছে। ‘
    হাটের ইজারাদার জয়নাল আবেদিন হেলাল জানায়, ‘ ৭ কোটি টাকার ওপরে এ হাটের ইজারা দিতে হয় সরকারকে। করোনা ও লকডাউনের কারনে হাটে গরু মহিষ ছাগল বেচাবিক্রি না হওয়ায় আমরা ইজারাদারেরা মাসের পর মাস লোকসান দিচ্ছি কোটি কোটি টাকা।  আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমদের মাধ্যমে চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেও কোন প্রনোদনা বা আর্থিক ক্ষতি পূরণ পাইনি। ‘