চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে
    ১৮ লাখ টাকার জাপানি গাড়িসহ নিলামে উঠছে ৬১ লট পণ্য

    নিলামে উঠছে
    বাংলাদেশ মেইল ::
    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেয়া লক্ষ্যমাত্রা পুরন ও চট্টগ্রাম বন্দরে জট কমাতে চলতি মাসের দ্বিতীয় নিলামের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। আগামী ২৯ জুলাই নিলামে উঠছে ৬১ লট পণ্য ।
    এর আগে গত ৮ জুলাই প্রথম নিলামে উঠেছিল ৫৬ লট পণ্য।এবারের নিলামে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৯ টাকা ৪৩ পয়সা মূল্যের প্রভোক্স মডেলের একটি জাপানি গাড়িসহ ৬১ লট পণ্য রয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ১৫ লট ফেব্রিক্স পণ্য ও ৪ লট প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার।

    এছাড়াও রয়েছে গার্মেন্টসের কাচামাল, গার্মেন্টস সিকিউরিটি ট্যাগ, ফিনিশিং এজেন্ট, হাইড্রোলিক এসিড, ব্যাটারি, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ওয়াশিং কেমিক্যাল, ডায়েসিড (এসিড পণ্য), মাল্টিভিটামিন পাউডার, প্লাস্টিক বোতল, টেক্সটাইল পণ্য, সালফিউরিক এসিড, ম্যাগাজিন, চামড়াজাত পণ্য, ওলিভ ওয়েল, সিরামিক পণ্য, বেবি ডায়াপার, ফুড স্টাফ, পলেস্তার, ওয়েস্ট পেপার, ড্রাগণ ফল, লোহার পাইপ, সুইচ সকেট, জ্যাকেটসহ বিভিন্ন পণ্য।

    চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, এবারের নিলামে ১৫ লটে ২৬১ রোল ফেব্রিক্স পণ্য, ৪ লটে ১ হাজার ১২২ কনটেইনার প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ১৯৮ বক্স এক্সেসরিস (কাঁচামাল), ৪ কনটেইনার সিকিউরিটি ট্যাগ, ১৯ কেজি ফিনিশিং এজেন্ট, ২৭০ কেজি হাইড্রোক্লোরিক এসিড, ১০ পিস ব্যাটারি লিড, ৭ কেস ওয়াশিং কেমিক্যাল, ১৬২ কেজি প্লাস্টিক বোতল, ৬০ কেজি গার্মেন্টস সিকিউরিটি ট্যাগ, ৩ ড্রাম ডায়েসিড (এসিড পণ্য), ৫২৫ কেজি মাল্টিভিটামিন পাউডার, ৯১ কেজি পলেস্তার, ১৫২ কেজি সালফিউরিক এসিড, ৩৪৮ কেজি বিএমডব্লিউ ম্যাগাজিন, ২ হাজার ১০ কেজি টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ৭২৪ জোড়া লেদার ফুট ওয়্যার, ৭ হাজার ৮শ’ লিটার ওলিভ ওয়েল, ২৬ হাজার ৬শ’ কেজি ব্যাটারি এক্সেসরিস, ১০ হাজার ৯০ পিস টাইলস, ২ হাজার ১০৫ প্যাকেট বেবি ডায়াপার, ৩৭৬ প্যাকেট ফুড স্টাফ, ৫০২ বেল ওয়েস্ট পেপার, ১৫ হাজার কেজি ড্রাগণ ফল, ৯১ পিস লোহার পাইপ, ১০০ কনটেইনার সুইচ সকেট, ২৫০ কনটেইনার হান্টিং জ্যাকেট নিলামে উঠছে।

    সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম করপোরেশন বরাবরের মতো এই নিলাম পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ সিভয়েসকে বলেন, গত রোববার (২৫ জুলাই) নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নিলামে অংশ নিতে হলে আগামীকাল ২৮ জুলাই ও ২৯ জুলাই সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও হালনাগাদ টিন সার্টিফিকেটের কপি জমা দিতে হবে।

    অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ ও টিন সার্টিফিকেটের কপি। কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখা থেকেও নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ সংগ্রহ করা যাবে। ওইদিন (২৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় এই নিলাম কার্যক্রম শুরু হবে।

    চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) মো. আল আমিন সিভয়েসকে বলেন, কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলমের নির্দেশনায় বন্দরের জট কমাতে নিলামের গতি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৯ জুলাই বেলা আড়াইটায় ৬১ লট পণ্য নিলামে তোলা হবে। বন্দরে আমদানিকৃত পণ্য যথাসময়ে খালাস না করলে তা নির্দিষ্ট সময় পর নিলামে তোলা হয়। কারণ খালাস না করা পণ্যগুলো বন্দরের ইয়ার্ডগুলো দখল করে রাখে। এতে কনটেইনার জটের সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে নিলামের পরিমাণ বাড়াচ্ছি। এর আগে গত ৮ জুলাই ৫৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক করা হয়। নিয়মনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

    বিএম/নিলামে উঠছে