সিআরবিতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

    প্রকল্প এলাকা

    বাংলাদেশ মেইল ::

    পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর আওতায় নগরীর সিআরবি এলাকায় প্রস্তাবিত ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে জানতে বুধবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। প্রকল্প নিয়ে তারা আরো খোঁজ-খবর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নগরবাসীকে জানাবেন।
    চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং নিজেদের দায়বদ্বতা থেকে হাসপাতাল সম্পর্কে খোঁজ নিতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সিআরবি এলাকায় গিয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন,‘আমরা আজ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলাম। এসময় প্রকল্পের পরিচালক আমাদেরকে সম্পূর্ণ অবহিত করেছেন। পিপিপির আওতায় নির্মাণ হতে যাওয়া এই প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুইবার যাচাই বাছাইয়ের জন্য ফেরত পাঠিয়েছিলেন। এই প্রকল্পে তেমন কোনো গাছ কাটা পড়বে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে ।’

    তিনি আরো বলেন, প্রকল্প পরিচালক আরো অবহিত করেন- প্রকল্পটি বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পেছনের অংশে নির্মিত হবে। সিআরবির শিরীষতলা পয়েন্টে হাসপাতালটি হচ্ছে না। তাই এতে প্রাকৃতিক ওই স্থানের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানানো হয়। প্রকল্প এলাকা সম্পর্কে আমরা আরো খোঁজ নিয়ে এবং যাচাই-বাছাই করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নগরবাসীকে অবহিত করব।

    পরিদর্শন টিমে থাকা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ ছালাম বলেন, মূলত প্রকল্পটি হচ্ছে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও পুলিশ সুপারের বাংলোর মধ্যবর্তী ছয় একর জায়গায়। এই স্থানে রেলওয়ের কিছু পরিত্যক্ত কোয়ার্টার রয়েছে এবং কিছু গাছ-গাছালি রয়েছে।প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি ।পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। তারপরও আমরা রেলমন্ত্রীর সাথে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত হয়ে নগরবাসীকে জানাব।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী পরিদর্শন টিমেছিলেন।

    এদিকে এই এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের আপত্তি রয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াও এখানে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদে সরগরম। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, সুধীজনসহ অনেকে এখানে হাসপাতাল নির্মাণের বিরোধিতা করছেন।

    রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পিপিপি’র আওতায় এখানে ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণ এবং ১০০ আসনের একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করার প্রকল্প নিয়েছে। এজন্য রেলওয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের এখানে প্রায় চারশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা রয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হবে আগামী তিন বছরে। বাকি ২৫০ শয্যা নির্মিত হবে পরবর্তী দুই বছরে। সর্বশেষ ১০০ আসনের মেডিক্যাল কলেজ নির্মিত হবে। আগামী ৫০ বছর তা পরিচালনা করবে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পরবর্তীতে তা রেলওয়ের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।