দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়
    চট্টগ্রামের জন্য ২৭৯২ মেট্রিক টন চাল ও নগদ টাকা বরাদ্ধ

    বরাদ্ধ

    বাংলাদেশ মেইল ::

    পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ও করোনা মোকাবেলায় সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিএফ ও জি.আর মিলে মোট ২ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধের পাশাপাশি নগদ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ধ থেকে চট্টগ্রামের ১৫ পৌরসভার জন্য ১ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্ধ পাওয়ার পর সেগুলো সাথে সাথে বন্টন করে দেয়া হয়েছে। বরাদ্ধপ্রাপ্ত চাল সমূহ পৌরসভা সমূহের ১ লাখ ৮৩ হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়রগণ চালগুলো সুষ্ঠভাবে বিতরণ করছেন। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলা সমূহের অসহায় পরিবারের জন্য পৃথকভাবে বরাদ্ধ এসেছে আরও ৯৬২ মেট্রিক টন জি.আর চাল। তন্মধ্যে মহানগরীর জন্য ২’শ মেট্রিক টন চাল, পৌরসভা সমূহের জন্য ৩১২ মেট্রিক টন চাল ও উপজেলা সমূহের জন্য ৪৫০ মেট্রিক টন চাল। প্রাপ্ত বরাদ্ধ থেকে ৯৬ হাজার ২’শ অসহায় পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।

    এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলা সমূহের হতদরিদ্র পরিবারের জন্য মোট বরাদ্ধ এসেছে নগদ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রাপ্ত নগদ অর্থ থেকে ১৪ হাজার ৭৭৫ পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আরও জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ধ থেকে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে নগদ, ত্রাণ ও শিশু খাদ্য সহায়তা মিলে চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলা সমূহের মোট ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৬ পরিবার অর্থ্যাৎ ২৩ লাখ মানুষকে সরকারী সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান অর্থ বছরে আরো বরাদ্ধ আসতে পারে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে নিত্য পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ওএমএস’র মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হয়েছে। ভিজিডি প্রোগ্রামের আওতায় জেলেদেরকেও মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মানবিক সহায়তার সবচেয়ে বড় সহযোগিতা আসে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় থেকে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৫০ লাখ মানুষ সহায়তার আওতায় এসেছে বলে জানান তিনি।