ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ পরিচালক দীন মনি শুক্রবার দুপুরে নতুন ১৭ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানান।
তিনি বলেন, “চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আমরা চতুর্থ তলা পর্যন্ত যেতে পেরেছি। উপরের দুই ফ্লোরে এখনও আগুন জ্বলছে। আমাদের কাজ শেষ হয়নি। চূড়ান্ত সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস, কোমল পানীয় ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পর রাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
নতুন করে ১৭ জনের মরদেহ পাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৯ জন। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনদের ভাষ্য।
দুপুরে লাশ উদ্ধারের আগে স্বজনদের বক্তব্যের ভিত্তিতে ৪৭ জন নিখোঁজ শ্রমিকের তালিকা করেছিল রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত বলেন, “অনেক লাশ শনাক্ত করার মত অবস্থায় নেই। সেগুলো ঢাকা মেডিকেলের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বলা হবে।”
বিএম/রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস