চলতি বছরের শেষে ইরাক থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র

    সেনাবাহিনী প্রত্যাহার

    বাংলাদেশ মেইল ::

    ইরাক থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলতি বছরের শেষ দিক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু হবে। তবে ইরাকের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। খবর বিবিসি।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমি বৈঠকের পর এমন ঘোষণা আসল।

    এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনী চলতি বছরের শেষ দিকে ইরাকে তাদের যুদ্ধের মিশন শেষ করবে। তবে ইরাকের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে।মুস্তাফা আল-খাদেমিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘নতুন পরিস্থিতিতেও আমাদের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয়া হবে । ’

    এর জবাবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও শক্তিশালী হয়েছে। অর্থনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ আরও অনেক বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’তবে ইরাকে আর বিদেশি সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমি।

    ইরাকে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবশিষ্টাংশকে মোকাবিলায় সহায়তা করার নামে দেশটিতে বর্তমানে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। তবে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলেও অল্প সংখক সেনা সেখানে অবস্থান করতে পারে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমিকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছর ইরাকের রাজধানী বাগদাতের বিমান বন্দরে মার্কিন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি এবং দেশটির কয়েকজন শিয়া নেতা নিহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে ইরাকে মার্কিন উপস্থিতি প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার দাবি জানায়।

    এদিকে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতে লক্ষ্য করে কয়েকশ রকেট, মর্টার এবং ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে শিয়া যোদ্ধারা এসব হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এমতাবস্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলেন।