কাউন্সিলর হাসনীর মারধরের শিকার হয়ে ৯৯৯ এ ফোন ভুক্তভোগীর

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রামের ঘাটফরহাটবেগ এলাকায় চসিকের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর মারধরের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন  ৯৯৯ এ দিয়ে অভিযোগ করেছেন । শুক্রবার (৯ জুলাই ) রাতে এই ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃস্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন ।

    মারধরের শিকার হওয়া নাসির উদ্দিন রাঙ্গুনিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোনাফ হাজীর ছেলে । গতরাত দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃস্টি হয় ঘাটফরহাটবেগ এলাকায় ।

    স্থানীয়রা জানান , হাজী মোনাফের নির্মাণাধীন ভবনের জন্য নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে  ট্রাক ডুকানোর কারনে বাধার মুখে পড়ে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরের গাড়ি। তিনি এই এলাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন। আ.জ.ম নাসিরের গাড়ি  ডুকার সময় বাঁধাগ্রস্ত হবার কারনে ক্ষিপ্ত হন তার অনুসারী ও নগর আওয়ামী লীগের নেতা হাসান মাহমুদ হাসনী। এ বিষয়টি নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসনীর সমর্থকরা।

    স্থানীয়রা আরো জানান, এলাকায় রাত বারোটার আগে ট্রাক ঢোকা নিষেধ।  কিন্তু ওই ট্রাকটি ঢুকার কারনে সাবেক মেয়র নাসিরের গাড়ি ডুকতে  সমস্যা তৈরি হয়।

    মোনাফ হাজী এলাকায় হাজী চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত। তার ছেলে নাসিরের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কাউন্সিলর হাসনী। নাসির তাকে মারধর করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে ৯৯৯ ফোন দেয়৷ পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

    সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোনাফ সিকদারের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন    বলেন, “রাত (শুক্রবার) সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির কাজের জন্য টাইলসের গাড়ি আসে। লকডাউনে গাড়ি কম তাই গলিতে প্রবেশ করে। এসময় সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

    “সেটা আমি জানতামও না। গাড়িটা সুন্দরভাবে চলে যায়। পেছনের গাড়িতে ছিলেন কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। তিনি গাড়ি থেকে নেমে ধমকাতে থাকেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকদের মারধর শুরু করেন।”

    এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে  কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিন বলেন, ওই এলাকায় মাছ ফাতেয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরের গাড়ি ডুকতে না দেবার কারনে উত্তেজনার সৃস্টি হয়েছিল৷ পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।