মেসিকে বিদায় দিতে কান্নাভেজা চোখে বার্সেলোনা সমর্থকরা

    কান্নাভেজা

    বাংলাদেশ মেইল::

    মেসি কে বিদায় দিতে কান্নাভেজা চোখে বার্সেলোনা সমর্থকরা!  এমন দিন আসবে সেটা হয়তো ভাবেননি। গত দেড় যুগ ধরে যে লিওনেল মেসি ছিলেন ক্লাবের সবকিছু তাকেই বিদায় দিতে হলো কান্নাভেজা চোখে। কয়েক দিন আগেও মনে হচ্ছিল, বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির নতুন চুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র।

    গত বছর বার্সেলোনা ছাড়তে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মেসি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই মত পাল্টিয়েছেন অনেক আগেই। বার্সায় থাকার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই জানা গেল, ইচ্ছ থাকলেও বার্সায় আর থাকা হচ্ছে না মেসি।

    কদিন আগে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে জানানো হলো, আর্থিক সমস্যার কারণে মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্ভব নয়। যদিও বেতনের অর্ধেক কমাতে সম্মত হয়েছিলেন মেসি। আজ বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে ছয় বারের বিশ্বসেরা ফুটবলার বললেন, এভাবে বার্সেলোনা ছাড়তে চাননি তিনি।

    কান্নাভোজা চোখে মেসি বলেন, ‘ক্লাব ছাড়তে হচ্ছে, এটাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ক্লাবটাকে আমি ভালোবাসি। এমন একটা মুহূর্ত আসবে, এটা আমি কখনো ভাবিনি। মিথ্যা বলছি না, সব সময়ই মনে যা আছে সেটা বলার চেষ্টা করেছি, সত্যিটা বলার চেষ্টা করেছি। গত বছর আমি ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলাম, এই বছর তা নয়। এ কারণেই কষ্টটা বেশি হচ্ছে।’

    বিদায় বেলায় মেসি জানালেন, ক্লাবে থাকতে সম্ভাব্য সব কিছুই করেছিলেন তিনি, ‘ক্লাবের ভেতরে কী হয়েছে আমি বলতে পারছি না। লাপোর্তা বলেছেন, চুক্তি নবায়ন হয়নি লা লিগার নিয়মের কারণে। আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমি এখানে থাকার জন্য যা কিছু করা সম্ভব সব করেছি। থাকতে চেয়েছি আমি। গত বছর চাইনি, সেটা বলেছিও। এ বছর আমি থাকতে চেয়েছি, কিন্তু পারিনি।’

    বার্সেলোনায় এসেছিলেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ২১ বছর পর ছাড়তে হচ্ছে প্রিয় ক্লাব। ক্লাবের আর্থিক সমস্যা ও লা লিগার নিয়মই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল দুই পক্ষের মধ্যে। মেসি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে, সব বিষয়ে সম্মতি হয়ে গেছে। এরপর একেবারে শেষ মুহূর্তে জানা গেল লা লিগার নিয়মের কারণে চুক্তি নবায়নকে আনুষ্ঠানিক করা সম্ভব হচ্ছে না। এটাই হয়েছে।