আক্রান্তদের জায়গা হচ্ছে না কোন হাসপাতালে
    চট্টগ্রামে জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি

    বাংলাদেশ মেইল::

    চট্টগ্রামে জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।  হাসপাতাল গুলোতে আইসিইউ সংকট তো রয়েছেই, কোথাও খালি নেই  করোনা রোগী ভর্তির সাধারণ শয্যাও। সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে এমন করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনরা। সময়ের সাথে সাথে চট্টগ্রামে জটিল হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।

    কোরবানির ঈদের পর থেকেই চট্টগ্রাম নগরী,  জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এরপর থেকেই সংকট দেখা দেয় সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ বেডের। সময়ের সাথে সাথে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সুবিধা কমছে, ক্রমেই  চট্টগ্রামে জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।

    নগরীতে সরকারি হাসপাতালে ৪৩টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১১৯টি আইসিইউ বেড থাকলেও এর মধ্যে একটিও ফাঁকা নেই।

    চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও বেসরকারি হাসপাতাল এর তথ্য মতে, চমেক হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য ৩০০ বেড ও ১০টি আইসিইউ রয়েছে। আইসিইউতে কোনো বেড খালি নেই এবং সাধারণ শয্যায় খালি রয়েছে ৬টি।

    ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৫০টি সাধারণ ও পাঁচটি আইসিইউ বেড রয়েছে। বর্তমানে সবকটি আইসিইউ রোগীতে পূর্ণ এবং ৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে সাধারণ শয্যায়।

    ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১৪০টি সাধারণ শয্যা ও ১৮টি আইসিইউ বেড থাকলেও, সাধারণ শয্যায় এর চেয়েও বেশি করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে।চট্টগ্রাম মেডিকেলের পর সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আইসিইউ’র পাশাপাশি খালি নেই সাধারণ শয্যাও।

    চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে নেই আইসিইউ শয্যা’র সুবিধা অন্যদিকে সাধারণ শয্যা থাকলেও, খালি নেই একটিও। হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতালে নেই কোনো আইসিইউ শয্যা।ইম্পেরিয়াল, বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খালি রয়েছে হাতে-গুণা কয়েকটি সাধারণ শয্যা।

    একই ভাবে চট্টগ্রামের বড় বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ম্যাক্স হাসপাতাল, সিএসসিআর, পার্ক ভিউ, মেট্রোপলিটন, ন্যাশনাল হাসপাতালে নতুন করে করোনা রোগী এবং আইসিইউতে রোগী ভর্তির সুযোগ নেই।

    এছাড়া নগরীতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা রয়েছে সরকারি ১২টি ও বেসরকারি ১৪টি হাসপাতালে। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে সরকারিতে ৪৭টি ও বেসরকারিতে ১২৪টি। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সরকারিতে ৬৯টি ও বেসরকারিতে ২৪টি।

    চট্টগ্রামে রবিবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী  গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১১ জন। আর একই সময়ে নতুন করে ৯২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ৩১ জুলাই ১ হাজার ৭৪২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

    বিএম/ চট্রগ্রামে জটিল