বাংলাদেশ মেইল:
অবশেষে পুরো মন্ত্রীসভা নিয়ে পদত্য়াগ করতে বাধ্য় হলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে রাজার নির্দেশে পরবর্তী সরকার গঠন পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের সমর্থন না পাওয়ায় আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে দেশটির রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সোমবার দেওয়া এক পোস্টে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগের তথ্য জানান দেশটির বিজ্ঞানমন্ত্রী খাইরি জামালউদ্দিন।এর আগে সোমবার সকালে মালয়েশিয়ার রাজার বাসভবনে প্রবশ করেছিলেন ইয়াসিন। এরপরই সেখানে তিনি রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।মালয়েশীয় গণমাধ্যম মালয় মেইল পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, মুহিউদ্দিন ইয়াসিন খুব শিগগিরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন।
এদিকে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের পদত্যাগের পর পরবর্তী সরকারকে গঠন করবেন, তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। কারণ, কোনও আইনপ্রণেতারই পার্লামেন্টে সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।এছাড়া চলমান করোনা মহামারির মধ্যে মালয়েশিয়ায় নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করা হবে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়।২০২০ সালের মার্চে পার্লামেন্টে একদমই অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে মালয়েশিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। সোমবারের প্রতিবেদনে মালয় মেইল তাকে মালয়েশিয়ার সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছে।
২০২০ সালের মার্চে জোটের প্রধান শরিক মালয়েশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন পার্টি (ইউএমএনও) মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে সমর্থন দিয়েছিল।তবে গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় দলটি। ফলে, নিজের পদ ধরে রাখার ব্যাপারে সারাক্ষণ চাপে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই চাপ আরও বেড়ে যায় তার দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা ইউএমএনও’তে যোগ দেয়ার পর।
এছাড়া, করোনা মাহামারী মোকাবেলায় ব্যর্থতা, স্বেচ্ছাচারিতা, মহামারী পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সঠিক নির্দেশনা দিতে না পারা এবং অযৌক্তিকভাবে রাজাকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। তারপর জুলাইয়ের শেষদিকে তার পদত্যাগের দাবিতে মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিএম/ পুরো মন্ত্রীসভা