ব্যবসায়িক ক্ষতির আশংকা করে সিটি ব্যাংকের জিডি

    বাংলাদেশ মেইল ::

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু কিছু গণমাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে জড়িয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে এমন অভিযোগ এনে থানায় জিডি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে । অভিযোগে ব্যাংক ও কর্মকর্তাদের ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে বেসরকারিখাতের এই ব্যাংকটি।

    এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সিটি ব্যাংকের হেড অব কোর্ট অপারেশন গাজী এম শওকত হোসেন।

    জিডিতে সিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে  উল্লেখ করেছে, অজ্ঞাতনামা স্বার্থান্বেষী মহলের এমন কার্যক্রমে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। এই অবস্থায় সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইনের আওতায় আনার দাবি করা হয়।

    সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিষ্ঠিতি ব্যাংক হিসেবে সিটি ব্যাংক অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। সরকারকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাজস্ব দিচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। ব্যাংকটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন একদল দক্ষ, সৎ ও সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি।

    সেখানে বলা হয়েছে, একজন অভিনেত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ নানা পেশার বেশ কিছু মানুষের জড়িত থাকার বিষয়ে গণমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। উক্ত খবরের মধ্যে সিটি ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জড়িত বলে একটি অসমর্থিত, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    গাজী এম শওকত হোসেন জিডিতে বলেন, এই মিথ্যা তথ্যকে পুঁজি করে সমাজের কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি, অসাধু প্রতারক ও চাঁদাবাজ বিভিন্নভাবে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে বা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে গণমাধ্যম ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় এবং ব্যাংক হতে অবৈধপন্থায় অর্থলাভের আশায় বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ভবিষ্যতে করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    জিডিতে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা স্বার্থান্বেষী মহলের এমন কর্মকাণ্ডে ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিক চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিটি ব্যাংক এমন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে একটি সংঘবদ্ধ চক্র উপরোক্ত পন্থায় বা অন্য কোনো উপায়ে ব্যাংক হতে চাঁদবাজি ও প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসাতের অশুভ পায়তারা করছে বা করতে পারে।