করোনা আপডেট
২৪ ঘণ্টায় ১৭৮ মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮৮৫

১৭৮ মৃত্যু
 বাংলাদেশ মেইল::
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে (কোভিড-১৯) ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২০ দিন পর মৃত্যু ২০০ এর নিচে নামে। সেদিন এই সংখ্যা ছিল ১৯৭। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮৮৫ জনের শরীরে। আগের দিন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৫ জনের শরীরে।শনিবার (১৪ আগস্ট) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭০৯টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩২ হাজার ৮১০টি। আর আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৩ হাজার ৩৩০টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৬ হাজার ৮৮৫টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৮০৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যে ১৭৮ জন মারা গেছেন, তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৩ হাজার ৯৮৮ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০৯ জন, নারী ৬৯ জন। তাদের মধ্যে বাসায় চার জন ও বাকি ১৭৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ১৭৮ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চার জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দুজন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী এক জন ও ১০ বছরের নিচে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১০০ বছরের বেশি কারও মৃত্যু হয়নি।

মৃত এই ১৭৮ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৭ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩ জন খুলনা বিভাগের। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের ১৪ জন, বরিশাল বিভাগের সাত জন, সিলেট বিভাগের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ছয় জন এবং ময়মনসিংহের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।