সারাদেশে করোনায় আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু

    ১৮৭ জনের মৃত্যু
    বাংলাদেশ মেইল::

    মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১৭৫ জনে।একই সময়ে করোনায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৬৮৪ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জনে।

    রোববার (১৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১১ হাজার ৩৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩১ হাজার ৪০৩ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৪ লাখ ৮ হাজার ৫২১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

    মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৭১ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৯, রাজশাহীতে ১২, খুলনায় ২১, বরিশালে ৮, সিলেটে ১৩, রংপুরে ১৩ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছে।

    ১৮৭ জনের মৃত্যু ,এদের মধ্যে পুরুষ ১০১ এবং নারী ৮৬ জন। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন ৩ জন। একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৯৪৩ এবং নারী ৮ হাজার ২৩২ জন।

    বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জন ষাটোর্ধ্ব, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪০, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন মারা গেছেন।

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

    গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩৩ জন। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১০ জন।

    প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।