এবার এইচএসসিতে ফরম পূরণ করেছে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী

    ফরম পূরণ
    বাংলাদেশ মেইল::

    মহামারি করোনার কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ গত ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে, এবার এইচএসসিতে ফরম পূরণ করেছে ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। করোনা পরিস্থিতির কারণে যাদের সবাইকে অটোপাস দেয়া হয়েছিল।ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরে ফরম পূরণ করেছে ৪১ হাজার ২৭১ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী।

    আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, এবার কয়েক দফা স্থগিত করে গত ১২ আগস্ট থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়। শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। এতে ঢাকা বোর্ডে  ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৭৮ জন, বরিশাল বোর্ডে  ৬৬ হাজার ৯৭৮ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে  ৯৬ হাজার ৮১২ জন,কুমিল্লা বোর্ডে  ১ লাখ ১৪ হাজার ৭১১ জন। দিনাজপুর বোর্ডে করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৬ জন।

    যশোর বোর্ডে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৫৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে করেছে ৬৯ হাজার ৩০৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে  ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৯ জন, সিলেট বোর্ডে ৬৬ হাজার ১০১ জন, মাদ্রসা বোর্ডে পূরণ ১ লাখ ১১ হাজার ১৩৭ জন।কারিগরিতে ঢাকা বোর্ডে  ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৫ জন ফরম পূরণ করেছে ।

    গত ৩১ জুলাই আন্তঃশিক্ষাবোর্ড থেকে জানানো হয়, ১১ আগস্ট সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ডের এসএমএস প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের ফি পরিশোধ করতে পারবেন। পরে সেটা বাড়িয়ে ৪ সেপ্টেম্বর করা হয়।

    শিক্ষাবোর্ড থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, করোনার কারণে এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। ফরম পূরণের পুরো কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ হবে অনলাইনে। কোন অবস্থায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের স্ব-শরীরে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে না। এবার কোন নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না তাই এ সংক্রান্ত কোন ফি নেয়া যাবে না। কোন প্রতিষ্ঠান এর ব্যতয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করতে পারবে। অননুমোদিত রেজিস্ট্রেশনধারী পরীক্ষার্থীর ফরমে কোন ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।

    সার্বিক বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘরে বসে ছাত্র ছাত্রীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারা এবং বোর্ডের ফি প্রতিষ্ঠানের ফি এমএফএস এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারার একটা মাইলফলক। এটা সম্ভব হলো একটা টীম ওয়ার্ক এর মাধ্যমে। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে আমাদের এ সফলতা।