এদের সঙ্গে দুজন বাংলাদেশি নাগরিকও গ্রেফতার হয়েছেন। এরা হলেন আবুল কালাম (২৭) এবং আবুল ফয়েজ (৫০)। উভয়ে নৌকার মাঝি বলে জানিয়েছেন র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ।
গ্রেফতার ১৪ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর প্রধান এস এম ইউসুফ বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মিয়ানমারে সঙ্গে আমাদের যে নৌ সীমান্ত আছে, সেখানে তারা মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে যায়। সেখান থেকে ইয়াবাগুলো তারা লোড করে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দিয়ে পতেঙ্গায় আসছিল। সেখান থেকে কর্ণফুলী নদীপথে ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট এলাকায় আসার কথা ছিল। তারা সবাই ক্যারিয়ার। সুনির্দিষ্টভাবে কারও কাছে ইয়াবাগুলো হস্তান্তরের কথা ছিল না। সম্ভবত তারা কয়েকদিন নৌকায় থাকত। গ্রুপে গ্রুপে এসে তাদের কাছ থেকে ইয়াবাগুলো নিয়ে যেত।’গ্রেফতার ১২ জন মায়ানমারের নাগরিক কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে র্যাব।
লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু আমাদের কাছে অ্যালার্মিং মনে হয়েছে এটা যে, রোহিঙ্গারা বের হয়ে মায়ানমারের সীমান্ত পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছিল, তারা মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের ট্রলারে ইয়াবাগুলো দেওয়া হয়। কিন্তু ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে মাছ ধরতে যাওয়াও বেআইনি।
‘তিনটি বিষয় আমাদের কাছে অ্যালার্মিং মনে হয়েছে। একটি হচ্ছে— মায়ানমার থেকে সরাসরি সাগরপথে ইয়াবা পাচার। দ্বিতীয়ত. ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বেরিয়ে চলে যাওয়া এবং তৃতীয়টি হচ্ছে— রোহিঙ্গাদের ইয়াবা বিক্রিতে জড়িয়ে পড়া। আমরা এ সব বিষয়ে নিয়ে আরও বিস্তারিত তদন্ত করে কাজ করব’— বলেন লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ।