জাস্টিন ট্রুডো আবারো কানাডার প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ মেইল ::

কানাডার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’র লিবারেল পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বী কনজাভেটিভ পার্টির তুলনায় বেশি আসনে জয়ের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো ।

লিবারেলরা জিতলেও তারা সম্ভবত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আগের মতোই আইন পাসে অন্যদের সমর্থনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ট্রুডোকে।

সংখ্যালঘু সরকার থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না- এ কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই নির্বাচনের ডাক দেন ট্রডো।

জনমত জরিপগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেওয়া নির্বাচনে ফল গণনার এ পর্যায়ে এসে ‘লিবারেলদের নতুন সরকার কতটা শক্তিশালী হবে’ সে প্রশ্নই সবার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইলেকশনস কানাডার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে ট্রুডোর লিবারেলরা ১৫৭টি আসন জিততে যাচ্ছেন বলে আংশিক ফলে দেখা যাচ্ছে। এরিন ও’টুল নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীলরা এগিয়ে আছেন ১২১টি আসনে।

কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের আসন সংখ্যা ৩৩৮; সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য লাগে ১৭০টি আসন।

সিবিসি ও সিটিভি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের হিসাবে ট্রুডোর লিবারেল পার্টিই পরবর্তী সরকার গড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

সিটিভি বলছে, নতুন লিবারেল সরকার আগের মতোই সংখ্যালঘু সরকার হবে। অন্যদিকে সিবিসি বলছে, সরকার কেমন হবে, তা আগাম বলা যাচ্ছে না।

“লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার দেখতে পেলে জনগণ বিস্মিত ও খুশি হবে, এমনকী লিবারেল শিবিরও। কিন্তু আমার মনে হয় এ বিষয়ে বলাটা এখন বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে যায়,” সিবিসিকে এমনটাই বলেছেন ট্রুডোর একসময়কার শীর্ষ উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু গেরাল্ড বাটস।

ট্রুডো ও এরিন ও’টুল তাদের নিজ নিজ আসনে সহজ জয় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে অনেক এলাকাতেই নির্বাচন কর্মকর্তাদের দীর্ঘক্ষণ ভোট নিতে হয়েছে, ভোট গণনায় সময়ও বেশি লাগছে। যে কারণে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ফল মিলছে দেরিতে।

উল্লেখ্য, কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের আসনসংখ্যা ৩৩৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭০টি আসনে জয়লাভ করতে হয়।