বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেষে গণভবনের গেটের বাইরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় ৫৩ জন নেতা উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে এদের মধ্যে দুজন বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হবে সেগুলো আপডেট করার জন্য উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকজন উপ-কমিটির সদস্যের বক্তব্য নেত্রী শুনেছেন। পাশাপাশি আমাদের আট বিভাগের আট জন সাংগঠনিকের কথা শুনেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন দেশের বাইরে থাকায় সেখানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা লিখিত রিপোর্ট করেছেন সভানেত্রীর কাছে। তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় তারা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন। যেখানে যেখানে বিবাদ আছে সেখানে দ্রুত সেগুলো মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের জনান, পাবনায় পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে অনেকে বিদ্রোহ করেছিল। তারা ক্ষমা চেয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন নেত্রী বরাবর। নেত্রী তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকারেরর বিরুদ্ধে অপপ্রচার-চক্রান্ত চলছে। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে ততই অপপ্রচারের মাত্রা বাড়ছে। এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। চক্রান্তমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে। তাছাড়া করোনাকালে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমাদের সভাপতি।’
নোয়াখালী ব্যাপারে কোনো কথা হয়েছে কি না?- এর উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘না, নোয়াখালীর ব্যাপারে এখানে কোনো কথা হয়নি। সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়েছি সমাধানের জন্য। স্বপন বাইরে আছে। সে ফিরে এলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আপনার ভাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন যে, আপনি নেত্রীর কাছে অব্যহতি চেয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?- এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’ জাতীয় সম্মেলন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো এজেন্ডাই ছিল না।’
বিএম/দলের