বাংলাদেশ মেইল ::
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুর্গাপূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের করা তিন মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাঁশখালীর চাম্বল জেলে পাড়া, নাপোড়া সার্বজনীন কালিবাড়ি মন্দির এবং পৌর সদরে হামলার ঘটনার পরে এসব মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, এমন কথা বলা হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের অধিকাংশই অধরা থেকে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বাঁশখালীর চাম্বল জেলে পাড়ায় হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া রায়ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। একই ইউনিয়নের খোরশেদ আলমসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র মন্ডপে হামলা চালায়।
কুমিল্লার ঘটনার জেরে ১৩ অক্টোবর রাতে বাঁশখালীর নাপোড়া ও চাম্বলে পূজামণ্ডপে হামলা হয়। পরে এ ঘটনায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৯৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়।
ব্রাক্ষ্মনবাডিয়ার নাসির নগরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নৃশংস ঘটনায় প্রতিবাদে সারাদেশ যখন উত্তাল ঠিক তখনই চট্রগামের বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউ, পির নাটমুডা পূ’ব হিন্দু পাডায় জামাত নেতার নেতৃত্বে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলার ঘটনা ঘটে |এঘটনায় মহিলাসহ আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন| জামাত নেতা খালেদ আমিন এর উপস্থতিতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে একদল সন্ত্রাসী|
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দীন জানান, বাঁশখালীতে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাঁশখালীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এই সব মামলায় সিসি ফুটেজসহ যথাযথ তথ্য-প্রমাণে বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীকে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা বলা হলেও বর্তমানে অধিকাংশ জামাত নেতা বোল পাল্টে আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে রাজনীতি করছেন। সরকারি দলে আশ্রয় নেয়া অনেককেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার উষ্কানি দিতে দেখা যায়।
সুজন শীল নামের এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, মন্দির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা তিনটি মামলায় ঘটনার নেপথ্যে নায়কদের আসামী করা হয়নি। মুলত জামাতের সাথে সম্পৃক্তরাই এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে রাজনীতি করছেন। ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে মন্ডপে হামলা করা হয়েছে। ‘
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. আশীষ শীল বলছেন, কুমিল্লায় কুরআন শরিফ অবমাননার কথিত অভিযোগের রেশ ধরে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকায় হওয়া একটি মিছিল থেকে হামলার সুত্রপাত ঘটেছে।
“পশ্চিম চাম্বল বুড়া কালী মন্দিরে একটি মিছিল থেকে হামলা হয়েছে। এসময় দুর্গা প্রতিমা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে সরস্বতী, কার্তিক ও গনেশ মূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ”